বাদলের আসনে জাপার প্রার্থী জিয়াউদ্দিন বাবলু

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

বাবলু দশম সংসদ নির্বাচনে কোতোয়ালী আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহিউদ্দিন পুত্র মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রার্থী  হওয়ায় প্রার্থিতা ছাড়তে হয় আওয়ামী লীগের কাছে। এর পর তিনি কক্সবাজার আসনে মহাজোটের প্রার্থী হলে সেখানকার জনগণ কলাগাছ পুঁতে তার প্রার্থীতার বিরোধিতা করে। ফলে কক্সবাজারেও নির্বাচন করতে ব্যর্থ হন বাবলু। পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইএম এরশাদের মুত্যু হলে রংপুর -৩ আসনে প্রার্থী হতে চান বাবলু। কিন্তু এরশাদপুত্র শাদ এরশাদকে ঐ আসনে জতীয় পার্টির প্রার্থী করা হলে বাবলুর নির্বাচনী ইচ্ছার মৃত্যু হয়।

বোয়ালখালী আসনে এরশাদের ভাগ্নি জামাই বাবলুর প্রার্থীতার বিষয়টি  ঢাকার পার্টি অফিসে গত রোববার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় সিদ্ধান্ত  হয়।সভায় জাপার সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলীয় সূত্র।

এ আসনের প্রয়াত সাংসদ মইন উদ্দীন খান বাদল গত ৭ নভেম্বর মারা যাওয়ার কারণে উপ নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি ইভিএমে ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। গত তিন সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরিক মইন উদ্দীন খান বাদল নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।

এদিকে দক্ষিণ জেলা  আওয়ামী য়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এবার নৌকার টিকিট পেতে যাচ্ছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তবে মহাজোটগতভাবে প্রার্থীর প্রশ্ন আসলে তখন কপাল পুড়তে পারে মোছলেম উদ্দীনের। তখন নৌকার সমর্থন যেতে পারে লাঙ্গলের দিকে। যেমনটি সম্প্রতি রংপুরে প্রয়াত এইচ এম এরশাদের আসনে উপ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও শেষ সময়ে জাপার প্রার্থী এরশাদপুত্র সাদকে সমর্থন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

এছাড়াও এই উপনির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রয়াত এমপি মইন উদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদলসহ অনেকেই আলোচনায় আছেন।

মইন উদ্দীন খান বাদল গত ৭ নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত ২০০৮ সাল থেকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে ২৮৫/চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।