নতুন রাজাকার হেফাজত : সজীব ওয়াজেদ জয়

নতুন রাজাকার হেফাজত : সজীব ওয়াজেদ জয়
নতুন রাজাকার হেফাজত : সজীব ওয়াজেদ জয়

পোস্টকার্ড অনলাইন ডেস্ক ।

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বর্তমানে হেফাজতে ইসলাম একাত্তরের জামায়াত/রাজাকারদের ভূমিকা নিয়েছে । কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি, এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করছি, করে ফেলেছি। তবে এখানে দুঃখের বিষয় একটি সতর্কতায় আমি শেষ করতে চাই, সেটা হল যে, একটা শ্রেণি আছে আমাদের দেশে তারা ইতোমধ্যে খুব মাথা উঁচু করেছে দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টায়... তারা হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানিয়ে দেবে।

“তাদেরকে আমরা কী বলি? তাদেরকে আমরা কী ডাকি? তাদেরকে আমরা রাজাকার ডাকি। একাত্তরে ছিল জামায়াত আর এখন হেফাজতও সেই নতুন রাজাকার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”

শুক্রবার রাতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির নানা দিক তুলে ধরার পর একথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে (মুজিববর্ষ) ঢাকার ধোলাইপাড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে তার বিরোধিতায় সরব হয় হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী দল।

হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম ভাস্কর্যকে ‘শরিয়তবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। এবং ভাষ্কর্য নির্মান হলে তা ভেঙে ফেলারও হুমকি দেন। আর এরপরই ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধুর একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাংচুর চালানো হয়।

এ প্রসঙ্গ তুলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তারা সাহস করেছে জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার। জাতির জনকের ওপর হামলা করাটা কী? এটা হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার চেতনার ওপর হামলা। আমাদের স্বাধীনতার চেতনার ওপর হামলা কারা করেছে, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।”

মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আবার সেই একটি মান্ধ্যাতার আমলের দেশ হয়ে যাব? সেটা আমরা হতে দেব না। আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে আমরা সেটা হতে দেব না। আমাদের তরুণ-তরুণীদের পক্ষে আমি বলতে চাই, এই মৌলবাদী শক্তিকে আমাদের মুছে ফেলতে হবে।