নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সানার পোস্টের পরই সাফাই টুইট সৌরভের

নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সানার পোস্টের পরই সাফাই টুইট সৌরভের
নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সানার পোস্টের পরই সাফাই টুইট সৌরভের

পোস্টকার্ড (আন্তর্জাতিক) ডেস্ক ।।

সৌরভ কন্যা সানার গাঙ্গগুলির নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পোস্টের পরই নতুন করে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। গতকালই নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে বিখ্যাত সংঘ বিরোধী সাহিত্যিক খুশওয়ান্ত সিংয়ের ২০০৩ সালের 'দ্য এন্ড অফ ইন্ডিয়া' বই থেকে একটা বিখ্যাত উক্তি পোস্ট করেন সানা গঙ্গোপাধ্যায়।

এরপরই অনেক নেটিজেন ও সাধারণ মানুষ বছর আঠারোর সানার সমাজ সচেতনতাকে সাধুবাদ জানান। পাল্টা শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। তারপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামতে হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিসিআই-র সভাপতি এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সানার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের কিছুক্ষণ নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সৌরভ পোস্ট করেন, 'সানাকে দয়া করে এই সমস্ত বিষয় থেকে দূরে রাখুন। এই পোস্টটি সত্য নয়। ও রাজনীতির কিছু বোঝে না। এই সম্পর্কে বোঝার জন্য ওর বয়স খুব কম।’ অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যখন অগ্নিগর্ভ ভারত সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বিখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক খুশবন্ত সিংয়ের বই 'দ্য এন্ড অফ ইন্ডিয়া'-র কিছু নির্বাচিত কিছু অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সানা। সানা অবশ্য তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কোনও ব্যক্তিগত মন্তব্য করেননি। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে খুশবন্ত সিংয়ের ওই লেখাটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর এনডিএ সরকার থাকাকালীন ২০০৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এই বইটি। ওই নির্বাচিত অংশে খুশবন্ত সিং লিখছেন, “আজ যারা শুধুমাত্র নিজেরা মুসলিম বা খ্রিস্টান নয় বলে এই দেশে নিজেদের নিরাপদ মনে করছে, তারা মিথ্যার স্বর্গে বাস করছে। সংঘ পরিবার এই মুহূর্তে বামপন্থী ও প্রগতিশীল ভাবধারার বর্তমান যুব সমাজকে আক্রমণ করার লক্ষ্য স্থির করেছে। আগামীতে তারা মহিলাদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনবে। যারা 'ছোট পোশাক' পরে, মাংস খায়, মদ্যপান করে, বিদেশি সিনেমা দেখে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বিশ্বাস না করে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে যায়, শুভেচ্ছা জানানো সময় জয় শ্রীরামের বদলে চুম্বন বা করমর্দন করে, এরা কেউ নিরাপদ নয় এই দেশে। আমরা যদি ভারতবর্ষ কে বাঁচিয়ে রাখতে চাই, তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের ভাবতে হবে।"