নাঈম আবরারের মৃত্যুর গ্রেফতারি পরোয়ানার সাথে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই : তথ‌্যমন্ত্রী

নাঈম আবরারের মৃত্যুর গ্রেফতারি পরোয়ানার সাথে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই : তথ‌্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই গ্রেফতারি পরোয়ানার সাথে : তথ‌্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে এর সাথে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই ।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। দিল্লি সফর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে দেশের বিশিষ্টজনের দেয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। দেশের ৪৭ জন বিশিষ্টজন যে বিবৃতি দিয়েছেন এটা বড় কোনো বিষয় নয়। এই ৪৭ জন ছাড়া হাজার হাজার বিশিষ্টজন রয়েছে। তারা বিবৃতি দিতেই পারে।

মন্ত্রী বলেন, অবহেলাজনিত মৃত্যু হওয়ার পর যদি সেটা লুকানোর অপচেষ্টা করা হয় বা ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হয়, এই গুলো তো নিশ্চয়ই অপরাধ।

তিনি বলেন, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ‌্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের অবহেলাজনিত মৃত্যুর বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। অভিযোগ সত্য মিথ্যা সেটি ভিন্ন বিষয়। এ ঘটনায় যারা দায়ী তাদের যাতে সঠিক বিচার হয় সেজন্য এই ৪৭ জন বিশিষ্ট জন আরেকটা বিবৃতি দেবেন বলে আশা করি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টির সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ, তাই আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের ব্যাপারে চেষ্টা করেছে। তাদের বিবৃতি সেটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো যখন মানুষ হত্যা করা হয়, তখন তারা কোনো বিবৃতি দেয় না। ফলে তাদের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে উল্লেখ করেন তথ‌্যমন্ত্রী।