দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারে ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ , সবাইকে কারাগারে প্রেরণ

দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারে ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ , সবাইকে কারাগারে প্রেরণ
দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারে ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ , সবাইকে কারাগারে প্রেরণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি ।।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের টেকনাফে ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা। আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের কাছ থেকে ২১ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় ১০টি এলজি, ৩০টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে কক্সবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ আয়োজিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন এন্ড ক্রাইমস) মো. জাকির হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, কমিউনিটি পুলিশিং কক্সবাজার জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি নুরুল হুদাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যারা আত্মসমর্পণ করেছে তারা হলেন; টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী পাড়ার জহির আহমদের ছেলে আবু তৈয়ূব ওরফে মধু, মাঠপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ জাহেদ, খয়রাতি পাড়ার আবুল কালাম সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ সাদ্দাম, টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল নূর, লামার বাজারের আব্দুল জলিলের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাঈল, সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত ছৈয়দুর হোসেনের ছেলে আব্দুল গফুর, সাবরাং সিকদারপাড়া আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন কালু, হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামোরি কোনারপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমান, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল গ্রামের ফকির আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ, নুর কবিরের ছেলে ইমাম হোসেন, হোয়াইক্যং উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুর শুক্কুরের ছেলে ফরিদ আলম, মহেশখালীয়াপাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শাহাদাত হোছাইন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা হাজী ফজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রিদওয়ান ও তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক, সুলতান আহমদের ছেলে বশির আহমদ, মৃত আমির হোসেনের ছেলে ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল আমিন আবুল, মৃত লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম, মৌলভীপাড়ার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ওরফে হাজি রাসেল, রুহুল আমিনের ছেলে ফজল করিম ও সাবরাং ইউনিয়নের লেজির পাড়ার মৃত হাজী মকতুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেছেন, ‘সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করছে। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ফলে মাদক নির্মূলে পুলিশ জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে।’ ২০১৯ সালের (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে।