তারেকের টাকা মেরে দিলো এম এ মালেক!

তারেকের টাকা মেরে দিলো এম এ মালেক!

নিউজ ডেস্ক ।।

অবৈধ হুন্ডি কারবারিদের কারণে প্রবাসী আয়ের একটি বিরাট অংশ থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হয় । গত এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৭.৮ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল হুন্ডি কারবার করা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে এই সিন্ডিকেটের পরিধির বিশালতা আরো বড় হওয়ায় এখনো এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী হুন্ডি কারবারের মাধ্যমে বিদেশে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়ে চলছে।

মূলত এই হুন্ডি কারবারিদের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে গত ২৮ সেপ্টেম্বর টাকা পাঠান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এবং ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশদ্বয়ের সভাপতিত্ব পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় চট্টগ্রাম থেকে ডা. শাহাদাত হোসেন এবং ময়মনসিংহ থেকে শফিকুল ইসলাম হুন্ডির মাধ্যমে জন প্রতি সাড়ে তিন কোটি টাকা করে সর্বমোট ৭ কোটি টাকা সমপরিমাণের অর্থ লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে প্রেরণ করেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। যার ফলশ্রুতিতে তারেক রহমান ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রামের সমাবেশ এবং শফিকুল ইসলামকে ময়মনসিংহের সমাবেশের সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব ভার অর্পণ করেন।

কিন্তু বিপত্তি-ঘটে সমাবেশ সমাপ্ত হবার পর। জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে ডা. শাহাদাত হোসেন এবং শফিকুল ইসলামের প্রেরিত অর্থ এখনো বুঝে পায়নি তারেক রহমান। এ নিয়ে উক্ত দুই নেতার সঙ্গে একাধিকবার তারেক রহমান হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথা বললেও তারা সাফ জানিয়ে দেয়, ‘আমরা যাবতীয় অর্থ যথা সময়ে লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের নিকট প্রেরণ করেছি। এখন তিনি যদি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অর্থ প্রেরণ না করেন, এর দায়ভার আমরা নিতে পারবো না।’

এ বিষয়ে লন্ডন বিএনপি নেতা এম এ মালেকের সঙ্গে কথা হয় বাংলা নিউজ ব্যাংকের। তিনি বলেন, বিগত ১৪ বছর যাবত তারেক রহমান আমার নিকট থেকে অন্তত ৩৫ কোটি টাকা কর্য করেছেন। দলের প্রয়োজনে আমি কতো টাকা প্রদান করেছি, তার হিসাব দিতে চাই না। কিন্তু কর্য করা টাকা চাওয়া অপরাধ না। তারেক রহমান দলের প্রধান হওয়ায় আমি টাকা দিতে বাধ্য থাকি। কিন্তু সবার মনে রাখতে হবে, বর্তমানে ইউরোপ সংকটময় সময় পার করছে। এসময় আমি তারেক রহমানের কাছে, আমার পাওনা টাকাগুলো ফেরত চেয়েছি। তিনি কোনো ভাবেই দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। অতঃপর ডা. শাহাদাত হোসন এবং শফিকুল ইসলামের নিকট থেকে ৭ কোটি টাকা পেয়েছি। তারা আমাকে অর্থ প্রেরণ করে বলেছিলেন, তারেক রহমানকে টাকাগুলো দিয়ে দিতে। এদিকে আমি তারেক রহমানের কাছে ৩৫ কোটি টাকা পাই। তাই ডা. শাহাদাত হোসেন এবং শফিকুল ইসলামের প্রেরিত ৭ কোটি টাকা নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে কোনো অপরাধ নয়। আমি আমার টাকা নিজের কাছে রাখতেই পারি।

এদিকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে তারেক রহমান লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি যোগাযোগ করতে অসম্মতি জানান। এম এ মালেক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে আসা ৭ কোটি টাকা তো দেবোই না। এখনো তারেক রহমানের কাছে ২৮ কোটি টাকা পাই। আমি উক্ত টাকা কবে পাবো, সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা চাচ্ছি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;