তারেকের বন্ধু মামুন “হাওয়া ভ’বনে ক্যা’সিনো পরিচা’লনা করতেন ”

তারেকের বন্ধু মামুন “হাওয়া ভ’বনে ক্যা’সিনো পরিচা’লনা করতেন ”
তারেকের বন্ধু মামুন “হাওয়া ভ’বনে ক্যা’সিনো পরিচা’লনা করতেন ”

ক্যা’সিনো কেলে’ঙ্কারি নিয়ে হৈচৈ চলছে সারাদেশে । এই প্রেক্ষা’পটে বাংলাদেশে ক্যা’সিনোর উৎপ’ত্তি আর বিকা’শ নিয়ে অনু’সন্ধান করতে গিয়ে পাওয়া গেছে চা’ঞ্চল্যকর ত’থ্য। ২০০১ সালে বি’পুল সংখ্যা’গরিষ্ঠতা নিয়ে বিএনপি যখন ক্ষ’মতায় আসে, তখনই দেশে শুরু হয়েছিল ক্যা’সিনো বাণিজ্যের প্রাতিষ্ঠা’নিকরণ। ও’য়ান ইলে’ভেন সরকার যখন দা’য়িত্ব গ্রহণ করে, তখন হাওয়া ভব’নে অপা’রেশন পরিচা’লনা করা হয়। সেই হাওয়া ভ’বনে তখন অন্তত ৫টি ক্যা’সিনো উপ’করণ পাওয়া গিয়েছিল।

*এ সং’ক্রান্ত গো’য়েন্দা প্রতি’বেদনে দেখা গেছে যে, হাওয়া ভব’নের দোতলায় তারেক রহমানের চেম্বা’রের পাশেই ছিল ক্যা’সিনো। সেখানে রা’উন্ড বো’র্ডসহ একাধিক ক্যা’সিনো সা’মগ্রী ছিল। ওয়া’ন ইলে’ভেনে যৌথ বা’হিনীর অভি’যানে এসব ক্যা’সিনো বা জু’য়ার সাম’গ্রী উ’দ্ধার করা হয়েছিল। সেসময় গোয়ে’ন্দা সং’স্থার প্র’তিবেদনে বলা হয়েছে যে, হাওয়া ভ’বনের এই ক্যা’সিনোটি পরি’চালনা করতেন তারেক জিয়ার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। মন্ত্রী, আমলা এবং ব্যবসায়ীদের বাধ্য’তামূলকভাবে সেখানে যেতে হতো।

*তবে এখন মতিঝিল বা বনানীর ক্যা’সিনোগুলোতে জেতা এবং হা’রা দুটোই হয়। কিন্তু এই হাওয়া ভ’বনের ক্যা’সিনোগুলোতে জ’য়ের কোনো সম্ভা’বনা ছিল না। বরং ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, আমলা, মন্ত্রীরা সেখানে যেতেন হা’রার জন্য। কোটি কোটি টাকা হে’রে তারা নিজেদেরকে ধন্য করতেন। ও’য়ান ইলে’ভেনের সময়ে হাওয়া ভ’বনের অভি’যানের গো’য়েন্দা প্রতি’বেদনে দেখা যায় যে, এক মন্ত্রী সেই ক্যা’সিনোতে ১০ কোটি টাকা হে’রে এসেছিলেন।

*একজন শিল্পপতি যিনি এখন আওয়ামী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি হয়েছেন- তিনি হাওয়া ভব’নের ক্যাসিনোতে ৫০ কোটি টাকা হে’রেছেন এমন ত’থ্যও গো’য়েন্দারা দিয়েছিলেন। একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ক্যাসি’নোতে যেতে অস্বী’কৃতি জানানোর কারণে তাকে মন্ত্রীত্ব পর্যন্ত খো’য়াতে হয়েছিল। আমলাদের ক্যাসি’নোতে যাওয়া ছিল বাধ্য’তামূলক। ঐ গোয়ে’ন্দা প্রতি’বেদনে আরও দেখা যায় যে, একেকদিন একেক মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয় সংশ্লি’ষ্ট ব্যবসায়ীদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হতো ক্যাসি’নোতে অংশগ্রহণ করার জন্য। সাধারণত কোনো বড় টে’ন্ডারের আগে সেই টেন্ডা’রের সংশ্লি’ষ্টদেরকে ক্যা’সিনোতে আমন্ত্রণ জানাতেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। সেই জু’য়াতে যিনি সবচেয়ে বেশি টাকা হা’রতেন, তাকেই সেই কাজটা দেওয়ার জন্য নি’র্দেশনা দেওয়া হতো।

*উল্লেখ্য যে, শুধু ক্যা’সিনোই নয়, হাওয়া ভব’নে ক্যাসি’নোর সঙ্গে ছিল সর্বাধু’নিক বা’র, জি’ম এবং বিনোদনের সামগ্রীও। শুধু হাওয়া ভ’বন নয়, ক্যাসি’নোর সন্ধা’ন পাওয়া গিয়েছিল গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বাগানবাড়ি খোয়াবভ’বনেও। অনেক সময় ছুটির দিনে খোয়াবভ’বনেও ক্যা’সিনো চলতো। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠ’পোষকতায়, রাষ্ট্রীয় মদ’দে এরকম ক্যা’সিনো থাকার ঘট’নায় তৎকালীন ওয়া’ন ইলে’ভেন সরকার বি’স্ময় প্রকাশ করেছিলো।

*অবশ্য তারকে রহমানের ক্যা’সিনোর অভ্যাস অনেক পুরনো। ১৯৯৬ সালে বিএনপি যখন বিরোধীদলে ছিল তখনো তারেক জিয়া সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক এবং নেপালে ক্যা’সিনোর জন্য যেতেন। নেপালে একবার ক্যা’সিনো কেলে’ঙ্কারিতে জড়িয়ে তারেক রহমান সেখানে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। পরে বিভিন্ন হস্ত’ক্ষেপের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করাও হয়েছিল।

*জানা যায়, তারেক জিয়া এখনো ক্যা’সিনো খেলেই সময় পার করেন। লন্ডনে যখন জ্ঞাত আয়’বহির্ভূত জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তখন লিখিত জবা’নবন্দিতে তারেক রহমান বলেছিলেন যে, তার আয়ের প্রধান উৎস হলো ক্যা’সিনো। উল্লেখ্য যে, লন্ডনের সবচেয়ে বড় ক্যা’সিনো ওয়েস্ট’ফিল্ড ক্যা’সিনোতে তারেক রহমান হলো নিয়মিত গ্রাহক। বাংলাদেশে যেমন দুর্নী’তির ব’রপুত্র বলা হয় তারেক রহমানকে, তেমনি ক্যা’সিনো সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা’তাও তারেক রহমান।