ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কজুড়ে গর্ত, চলছে নিন্মমানের ভরাট কাজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কজুড়ে গর্ত, চলছে নিন্মমানের ভরাট কাজ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কজুড়ে গর্ত, চলছে নিন্মমানের ভরাট কাজ

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক মাত্র কদিনের বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । ছোট বড় গর্তে ভরে গেছে পুরো রাস্তা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা সংস্কারে কাজ শুরু করলেও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সূত্র জানিয়েছে, বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অনেক জায়গায় পিচ উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমা হচ্ছে। সেখানে গাড়ির চাকা পড়ে পরিস্থিতি আরো নাজুক করে তুলছে। সড়কের সিটি গেট থেকে মীরসরাই পর্যন্ত এলাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সীতাকুণ্ড এবং মীরসরাই এলাকার বাইপাসগুলোর অবস্থা বেশি নাজুক। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিটুমিন মেশানো কংকর দিয়ে রাস্তার গর্তগুলো ভরাট করার কাজ শুরু করেছে। তবে সরজমিনে দেখা গেছে যে, রাস্তার গর্তের ভিতরেই বিটুমিন মেশানো কংকর দিয়ে দেয়া হচ্ছে। ঢালাই দেয়ার প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে না। এতে ব্যস্ততম সড়কের গাড়ির চাকার সাথে লেগে ওই কংকর সাথে সাথে ছিটকে পড়ছে। রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে পাথর, কংকর। এগুলো রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির জন্য নতুন হুমকি সৃষ্টি করেছে।

সাইফুল আলম নামের একজন গাড়ি চালক বলেন, মাত্র দুই তিনদিনের বৃষ্টিতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থা যেভাবে বেহাল হয়ে উঠেছে তাতে আগামী ভর বর্ষায় কি হবে কি জানে। পুরো রাস্তায় শত শত খানাখন্দক তৈরি হয়েছে। কোন কোন গর্ত বেশ বড়। গাড়ির চাকা পড়ে গর্তগুলো ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে রাস্তার গর্ত ভরাটের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকরী হবে না বলে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। সাইফুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে গর্ত ভরাট করা হয়েছে তা খুবই নিম্নমানের। ঢালাই দেয়ার সাথে সাথে গাড়ির চাকার সাথে লেগে তা উঠে যাচ্ছে। চার লেনের রাস্তার এক পাশের দুই লেনকে বিভক্ত করে কিছু কিছু এলাকায় স্থায়ীভাবে কাজ করলে ভালো হতো বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার আশংকা বাড়ছে। তাই দুর্ঘটনা ঠেকাতে আমরা দ্রুত রাস্তার গর্ত ভরাট করার কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অধিকাংশ গর্তই ভরাট করে দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বৃষ্টির মধ্যেও অনায়াসে কাজ চালানোর মতো মানসম্পন্ন বিটুমিন এবং পাথর দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ঢালাই দেয়ার সাথে সাথে এসব বিটুমিন এবং পাথর রাস্তার গর্তে আটকে যাচ্ছে। কিছু কিছু পাথর ছিটকে বেরিয়ে আসলেও গর্ত তৈরি হচ্ছে না। ছিটকে বেরিয়ে যাওয়া পাথর গাড়ির চাকার সাথে লেগে রাস্তার বাইরে চলে যাচ্ছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

আজাদী