টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ সীতাকুণ্ড থানা এসআই মাহবুব মোরশেদের বিরুদ্ধে !

টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ সীতাকুণ্ড থানা এসআই মাহবুব মোরশেদের বিরুদ্ধে !
টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ সীতাকুণ্ড থানা এসআই মাহবুব মোরশেদের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক , পোস্টকার্ড ।।

এক নারীকে লাথি দেয়ার পাশাপাশি টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের এসআই মাহবুব মোরশেদের বিরুদ্ধে । রবিবার এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী খালেদা আক্তার।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ফোর্স নিয়ে সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ভাটেরখীলস্থ নুর আহম্মদে নতুন বাড়িতে তার স্বামী ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে যান এসআই মাহবুব মোরশেদ। কিন্তু তার স্বামীকে না পেয়ে এসআই মাহবুব মোরশেদ খালেদাকে তাদের প্রতিবেশীর সাথে চলা জমি সংক্রান্ত মামলায় জামিনে আছেন কি না জানতে চান।

খালেদা আক্তার আদালত থেকে জামিনে আছেন জানালে এসআই মাহবুব মোরশেদ তাকে জামিনের কপি দিতে বলেন। এসময় খালেদা আক্তার জামিনের কপি তার দেবরের কাছে আছে এবং তিনি আসলে দেখাবেন বলে জানালে এসআই মাহবুব মোরশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে এসআই মাহবুব মোরশেদ খালেদাকে তার ঘরের আলমারির চাবি দিতে চাপ প্রয়োগ করেন।

এসময় খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসআই মাহবুব মোরশেদ তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দুইবার পেটে লাথি দেন। পরে ভয়ে আলমারির চাবি দিয়ে দিলে মাহবুব মোরশেদ আলমারি খুলে নগদ ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা, আট আনা স্বর্ণ, দুটি স্মার্টফোন ও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খালেদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী জমি সংক্রান্ত একটি ঝামেলায় পড়ে মামলার আসামি হন। এরপর আদালত থেকে জামিন নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমরা। শনিবার দুপুরে তিনি ২ জন কনস্টেবল ও একজন সোর্সসহ আমার স্বামীকে আটক করতে আসেন। কিন্তু আমার স্বামী তখন ঘরে ছিলেন না। তাকে না পেয়ে তিনি আমাকে গালিগালাজ করে এবং আলমারির চাবি দিতে চাপ দেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে দুইবার লাথি দেন এবং প্রকাশ্যে অপমান করেন।

তিনি আরও বলেন, এসআই মাহবুব মোরশেদ আমাদের ঘরের আলমারিতে থাকা গরু বিক্রির ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা, আট আনা স্বর্ণ ও দুটি স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে যান। এমনকি আমার ছেলে-মেয়েদের স্কুলের সনদ, জন্মনিবন্ধনও নিয়ে যান। আমি বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে এসআই মাহবুব মোরশেদ বলেন, একজন ওয়ারেন্টের আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে পালিয়ে যায়। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কোন লুট বা খারাপ ব্যবহার করিনি। তারা আমাকে ফাঁসাতে চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল এবং গ্রেপ্তার অভিযানে যাওয়ার বিষয়ে থানা অবগত ছিল। তবে আসামির স্ত্রীর সঙ্গে এমন খারাপ ব্যবহার করেছে কি না সেটি আমরা তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারব। তাছাড়া ওই নারী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন অফিসারের নির্দেশে পেলে আমরা তদন্ত করব।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;