চীনের করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া সাহসী চিকিৎসকের মৃত্যু

চীনের করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া সাহসী চিকিৎসকের মৃত্যু

করোনোভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনা চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন ডা. লিয়াং উদং।

কিন্তু এই ভাইরাসের আক্রমণেই ৬২ বছর বয়সী চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রুশ গণমাধ্যম আরটি শনিবার খবরটি জানিয়েছে।

ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস চীনের নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ জন।

বিবিসি জানায়, সর্বশেষ নিহতদের ১৫ জনই হুবেই প্রদেশের। এই প্রদেশেই ভাইরাসটি প্রথমে ছড়িয়ে পড়েছিল।

এদিকে উহান প্রদেশে একটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।

এমন সময় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, যখন দেশটির পঞ্জিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চান্দ্রবর্ষ উদ্‌যাপন শুরু করেছে চীনারা। কিন্তু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এই কারণে উহান প্রদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন। সপ্তাহখানেক আগে এক খোলা চিঠিতে তারা জানান, সেখানেই ডাক পড়ছে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

তবে জানা গেছে, টানা কাজ করে অনেক অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী অসুস্থবোধ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তেমন কিছু ভিডিও। একটি ভিডিওতে এক চিকিৎসককে অসুস্থ হয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে স্নায়ুচাপে কাবু এক নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে কাঁদতে দেখা যায়।

এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সেখানকার হাসপাতালগুলো অনেক ক্ষেত্রে অনুদানের ওপর নির্ভর করছে।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাস এখন ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

【医护人员崩溃了】
【武汉医护在求救!】

武汉各大医院的一万多医护人员连日来超负荷工作,也见不到亲人,加上医院内物资缺乏,在休息室内情绪终于崩溃了。