ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে প্রদীপসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আরো দুই মামলার আবেদন

ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে প্রদীপসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আরো দুই মামলার আবেদন
ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে প্রদীপসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আরো দুই মামলার আবেদন

কক্সবাজার প্রতিনিধি ।।

কক্সবাজার টেকনাফের বাহারছড়ার আবদুল আমিন ও হোয়াইক্যংয়ের মুফিজ আলম নামের দুইজনকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগে বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরো দু’টি মামলার আবেদন করা হয়েছে।

ফৌজদারি মামলার এজাহার দু’টি আমলে নিয়ে আদালত এবং ঐ ঘটনা সংক্রান্ত কোনো মামলা হয়েছে কি না তা আগামী ধার্য্য দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে এই দুই মামলার আবেদন করা হয়েছে।

নিহত বাহারছড়ার আবদুল আমিনের ভাই নুরুল আমিন ও মুফিজ আলমের ভাই মো. সেলিম বাদি হয়ে এই দুই মামলার আবেদন করেন।দু’টি মামলার একটিতে ৩৮ জন ও অন্যটিতে ১৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। বাদিপক্ষের আইনজীবী আবু মুছা মোহাম্মদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

বাহারছড়ার আবদুল আমিনের মামলার বাদি আবেদনে উল্লেখ করেন, সুপারি ব্যবসায়ী আবদুল আমিন থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে টেকনাফ থানা পুলিশ কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় একদল পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়েও ৫ লাখ টাকা দাবি করে ওসিসহ পুলিশরা। শেষে বাধ্য হয়ে ৫০ হাজার টাকা দেয় পরিবার। বাকি টাকার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে বাকি টাকা দাবি করে পুলিশ। এতে অস্বীকৃতি জানানো হলেই একদল পুলিশ আবদুল আমিনকে গুলি করে হত্যা করে।

মুফিজ আলমের মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, টেকনাফ থানা পুলিশ মুফিজ আলম থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন কিন্তু তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এক পর্যায়ে টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়ে ২০১৯ সালের ১২ জুলাই পুলিশকে ৬ লাখ টাকা দেন তারা। টাকা নেয়ার পরদিনই মুফিজ আলমকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়।

আইনজীবী আবু মুছা মোহাম্মদ বলেন, “ফৌজদারি মামলার এজাহার দু’টি আমলে নিয়েছে আদালত এবং ঐ ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কি না তা আগামী ধার্য্য দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।”