কারাদণ্ড নয় সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান থাকবে

কারাদণ্ড নয় সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান থাকবে
কারাদণ্ড নয় সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান থাকবে

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তন করে নাম রাখা হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’। এ আইনে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন এই সিদ্ধান্তের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে মানহানির অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল। নতুন আইনে পরিবর্তন এনে কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানার বিধান করা হবে। তবে কেউ যদি জরিমানা না দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। জরিমানার ওপর ভিত্তি করে তিন বা ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে মূল শাস্তি জরিমানা।

মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেকগুলো ধারা অজামিনযোগ্য ছিল, সেগুলোকে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে জামিনযোগ্য করা হয়েছে’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলো চলবে। তার বিচারকাজ নতুন আইনে পরিচালিত হবে।’

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে কেউ যদি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন, সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতো। সেটার শাস্তি ছিল ১০ বছর। নতুন আইনে সেই শাস্তি কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেকগুলো ধারাতে দ্বিতীয়বার অপরাধ করলে দিগুণ সাজার বিধান ছিল। নতুন আইনে সেসব বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়বার অপরাধ করলেও সেটা প্রথমবারের মতোই বিবেচনা করা হবে।

তবে সাইবার নিরাপত্তার জন্য যেসব আইন খুব গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোতে নতুন আইনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। 

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধের জন্য আইনটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

এর আগে, ২৬ জুলাই সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে সাক্ষাতের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের খসড়া আগামী সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। তবে কী সংশোধন হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি তখন বিস্তারিত বলেননি।

২০১৮ সালে প্রণীত বিতর্কিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। বিশেষ করে এর ৫৭ ধারা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;