কি হচ্ছে বিএনপির ১০ ডিসেম্বর?

কি হচ্ছে বিএনপির ১০ ডিসেম্বর?
কি হচ্ছে বিএনপির ১০ ডিসেম্বর?

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

নির্বাচনে হেরে রাজনৈতিক ক্ষমতা না পেয়ে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার দেশজুড়ে ২০১২ থেকে ২০১৪ সহিংসতা শুরু করেছিল। পেট্রোল বোমা, আগুন সন্ত্রাস, গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা কেটে দেওয়া, সেতু ও কালভার্ট ভাঙার মতো কাজগুলো করেছিল বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা।

তবে সরকারের বিশেষ প্রচেষ্টায় এবং প্রশাসনের দৃঢ়তায় দুর্বিষহ সেই সময় পেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। জনগণ নিরাপদে দিন পার করছে। এরই মধ্যে আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কেননা দেশব্যাপী আবারও আন্দোলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে বিএনপি। এমনকি ডেডলাইন ১০ ডিসেম্বর ঘোষণা করে জনমনে তীব্র ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

জানা গেছে, আগামী ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে দেশের সব সাংগঠনিক বিভাগে মহাসমাবেশ শুরু করবে বিএনপি। এই পর্বের কর্মসূচি শেষ হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে। এই সমাবেশেই পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সূত্রগুলো জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর থেকেই মূল পর্বে যাত্রা করবে বিএনপি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামার প্ল্যান রয়েছে তাদের, তবে যদি অন্যান্য দলের সেরকম প্রস্তুতি না থাকে, সেক্ষেত্রে এককভাবেই রাজপথে ধারাবাহিক থাকবে বিএনপি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরে কী কর্মসূচি আসবে—এটা আমাদের পলিসির বিষয়। দল যখন কর্মসূচি ঠিক করবে, তখন জানানো হবে। তবে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ না করলে ফায়দা পাওয়া যাবে না বিধায় পরিকল্পনায় এ দুটো থাকতে পারে।’

শামসুজ্জামান দুদু জানিয়েছেন, ‘নতুন কর্মসূচি কী আসবে—তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমাদের দলের স্থায়ী কমিটি আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি নির্ধারণ করবে। তবে এটা বলা যায়, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আসবে। দুয়েক দিনে যদি মাঠ কাঁপানো না যায়, তবে কর্মসূচি ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির দিকে যেতে পারে।’

১ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিএনপির সভায় দলের ১০ সাংগঠনিক বিভাগের নেতারা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আন্দোলনের ধরন ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, প্রস্তাবিত কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—অবরোধ, লংমার্চ, জেলা থেকে জেলায় রোড মার্চ, ঢাকা থেকে বিভাগীয় শহরে রোড মার্চ, ৬৮ হাজার গ্রামে একই দিন গণমিছিল।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, দেশে গণতান্ত্রিক অবস্থা আজও বিদ্যমান রয়েছে বলে আন্দোলন করতে পারছে বিএনপি। কিন্তু তারা এই গণতান্ত্রিক সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যদি জনমনে ভীতি তৈরি করে, সাধারণ মানুষের জানমাল নিয়ে খেলা করে তবে সেটা হবে তাদের ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত। কেননা জনগণ এখন নিজের ভালো বুঝে গেছে। উন্নয়ন চিনেছে। তাই তাদের ধ্বংসাত্মক কাজগুলো সমর্থন করবে না বরং প্রতিহত করবে প্রতিটা এলাকার সাধারণ মানুষ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;