ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়, ঋতু পরিবর্তনে খাদ্য সচেতনতা

ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়, ঋতু পরিবর্তনে খাদ্য সচেতনতা
ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়, ঋতু পরিবর্তনে খাদ্য সচেতনতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক ।।

আমাদের শরীরের সাথে যে স্বাভাবিক ভারসাম্য থাকে ঋতু পরিবর্তনে এর পরিবর্তন হয়। ঋতু পরিবর্তনের সময় তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, ধুলাবালি আর বৃষ্টিপাতের তারতম্যে নানা রকম অসুখ আর স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এ সময়ের অসুখ বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত এবং সাময়িক, কিন্তু ভীষণ অস্বস্তিকর। এইসব থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের সবাইকে হতে হবে সচেতন, নিতে হবে প্রতিরোধমূলক খাদ্য ব্যবস্থা।

এ সময় সজনে খান নিয়মিত

বসন্তের উষ্ণ আবহাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে আর বাতাসের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে জলবসন্ত আর হামজাতীয় রোগের প্রকোপ দেখা দেয় এই সময়ে। বাতাসে ছড়ানোর কারণে এগুলো বেশ ছোঁয়াচে এবং খুব তাড়াতাড়ি একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে। এসব কারণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার এবং ব্যথানাশক খাবার আমাদের গ্রহণ করতে হবে। যেমন গরম চা, গরম পানিতে আদা, মধু, লেবুর রস, তুলসি পাতার রস ইত্যাদি মিশিয়ে পান করা। এছাড়াও ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, কাঠবাদাম, গ্রিন টি, আনারস, আঙুর, ভুট্টা, লাল আটা, বাদাম তেল, জলপাই, উদ্ভিজ্জ তেল, ব্রকলি খেজুর ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। কারণ এসব খাবার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন

আদা যেমন হজম শক্তি বাড়ায় তেমনি পেট ফোলা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে আদা। তিতা সবজি করলা, নিম পাতা ইত্যাদি আমাদের ত্বকের সুরক্ষা করে। যেমন চুলকানি, খোসপাঁচড়া, জলবসন্ত ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

সজনে গাছের প্রতিটি অংশে প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধক রয়েছে। সজনে ডাঁটা, সজনে ফুল, সাজনে শাক পক্স প্রতিরোধী। তাই এ সময় খাদ্য তালিকায় রাখুন সজনে।

কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুঁড়া আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। রোগ জীবাণু ধ্বংস করে। এই সময় আমরা হলুদের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারি।

ভাইরাস জ্বর, জলবসন্ত এবং অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ে ঋতু পরিবর্তনের এই সময়। তাই থাকতে হবে সতর্ক, পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণে পানি। থাকতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা ও পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি খেতে হবে পুষ্টিকর ও সুষম খাবার যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।