করোনা মোকাবেলায় ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ হচ্ছে!

করোনা মোকাবেলায় ২ হাজার  চিকিৎসক নিয়োগ হচ্ছে!
করোনা মোকাবেলায় ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ হচ্ছে!

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক।।

মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ৩৯তম বিসিএস-এর নন-ক্যাডারের অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) করেনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দানের জন্য জরুরিভিত্তিতে ২০০০ চিকিৎসক ও ৬০০০ নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপরই গতকাল শনিবার এ ঘোষণা এলো।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্র জানায়, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। সুপারিশ পাওয়ার পর অপেক্ষমান তালিকা থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। ২০১৮ সালে ১০ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়, শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। পরে ওই বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ জন অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন মোট ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিৎসক ও ৫৩১ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে উত্তীর্ণ হন।চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে নতুন চিকিৎসক নেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি দিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেয়েছেন তাঁরা। এটি নিয়ে কাজ করছেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, জরুরিভিত্তিতে এই নিয়োগের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য বঙ্গভবনে একটি তালিকা পাঠাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এ লক্ষ্যে আরও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে করোনার চিকিৎসায় আমাদের ৯টি ডেডিকেটেড হাসপাতাল আছে। এগুলোতে বেড সংখ্যা ২ হাজার ৭০০টি। আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রও করোনা হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেখানে আরও ১৫০০ থেকে ২০০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। তবে সেখানে গুরুতর অবস্থায় থাকা কোনো রোগীকে রাখা হবে না কারণ সেখানে কোনো আইসিইউ বা ভেন্টিলেটর নেই। তিনি আরও বলেন, মহাখালীর ডিসিসি মার্কেটের ৮ম তলায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখভাগে থেকে লড়াই করা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ২৫০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যান্য তলায় সাধারণ রোগীদের জন্য ১৩০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক জানান, নতুন ভাবে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে গেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, কয়েক দফা পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। যা সময় সাপেক্ষ। সেই অবস্থাও এখন নেই। তিনি জানান, দেশে এখন চিকিৎসক সংকট। এই বিশেষ সংকটের সময় জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। এরা সবাই পররীক্ষিত। সবাই পাশ করেছেন। পদ কম থাকার কারণে আমরা তাদের নিয়োগের সুপারিশ করতে পারি নি, তাই অপেক্ষমাণ তালিকায় রেখেছি। সরকার এখন ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করতে চাইলে আমাদের সেই প্রস্তুতি আছে। চাহিদা পেলেই আমরা এ বিষয়ে দ্রুত সময়ে কাজ করতে পারি।