আল্লামা শফীর হত্যা মামলার আসামি কখনো হেফাজতের কর্ণধার হতে পারে না : সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত নেতৃবৃন্দ

আল্লামা শফীর হত্যা মামলার আসামি কখনো হেফাজতের কর্ণধার হতে পারে না : সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত নেতৃবৃন্দ
আল্লামা শফীর হত্যা মামলার আসামি কখনো হেফাজতের কর্ণধার হতে পারে না  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ।। 

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র উদ্যোগে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের ও উস্কানিদাতাদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।

বুধবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল ইসলাম জাদিদ।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র উদ্যোগে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের ও উস্কানিদাতাদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন আল্লামা শফী অনুসারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম জাদিদ বলেন, হেফাজতের আমিরের মৃত্যু নিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী সংবাদমাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন। যারা আহমদ শফীর হত্যা মামলার আসামি তারা কখনো হেফাজতের কর্ণধার হতে পারে না। 

আল্লামা আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম জাদিদ আরও বলেন, আমরা মনে করি- শাইখুল ইসলাম শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে শহীদ করে বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসা এবং হেফাজতে ইসলামকে একটি চিহ্নিত মহল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।

এসবের নেতৃত্বে মূলত হেফাজতের গুটিকয়েক নেতা এবং চিহ্নিত কিছু চরমপন্থী রয়েছে। হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলনের নামে আল্লামা শফীর রুম ভাংচুর এবং তার ওপর মানসিক চাপ, অসৌজন্যমূলক আচরণ, মেডিসিন নিতে বাধা প্রদান, তার চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটানো- এসবই ছিল তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

নুরুল ইসলাম জাদিদ অভিযোগ করে বলেন, মৃত্যুর আগে হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত শাহ আহমদ শফীকে ওষুধ খেতে দেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে তার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। রাস্তায় আটকে দেওয়া হয়েছিল এম্বুলেন্সও।

হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-

১. বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আল্লামা শাহ আমদ শফীর ‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর’ রহস্য উদঘাটন করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
২. তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলা তদন্তপূর্বক অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।
৩. আল্লামা শফীর পরিবারের সদস্যদের ও তার অনুসারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা মামলা তুলে নেয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. আহমদ শফীর রেখে যাওয়া সব দ্বীনি ও সামাজিক অঙ্গনগুলো থেকে তার বিরোধীদের অপসারণ করতে হবে।
৫. অবিলম্বে দেশের সব হিফজ-মক্তব মাদ্রাসা খুলে দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন, ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুপুরী পীর) সহ হেফাজতের নেতৃবৃন্দ।