আবারও দেশে উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে : রাঙ্গুনিয়ায় আ.লীগের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী

আবারও দেশে উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে : রাঙ্গুনিয়ায় আ.লীগের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী
আবারও দেশে উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে : রাঙ্গুনিয়ায় আ.লীগের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী

ইরফান খান, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি ।।  

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে নতুন করে আবারও উচ্ছৃঙ্খলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অপচেষ্টার অংশ হিসেবে ভাস্কর্য নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করা হচ্ছে। যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চাই, যারা দেশকে আবার মধ্যযুগে নিয়ে যেতে চাই, তারাই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা হচ্ছে বিএনপি এবং তাদের দোসররা।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে ভার্চ্যুয়ালী সংযুক্ত হয়ে উপজেলার পোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়াতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর হামলা চালানো হয়েছে। যেকোন ইস্যু সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবমাননা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না। আমাদের এই দেশ অসম্প্রদায়িক দেশ।

এই দেশে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টিয়ান সকলের সম অধিকার। সকলের মিলিত রক্তশ্র“তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে। সুতারাং তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”

পোমরা বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দুল আলম তালুকদার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আ.লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য জহির আহমদ চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার।

প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন মুন্সির সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল কবির গিয়াসু, আকতার হোসেন খাঁন, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, এমরুল করিম রাশেদ, আবু তাহের, মাওলানা আইয়ুব নূরী, পৌরসভার কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন, পোমরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. নাছের, যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, কৃষকলীগ সভাপতি মমতাজ মিয়া, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফেরদৌস আক্তার, ছাত্রলীগ সভাপতি আকতারুজ্জামান আজাদ প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সম্মেলনের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে, তাদের অনুরোধ জানাবো, প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। শক্তিশালী সংগঠনের কোন বিকল্প নেই। আর এখন সকলে আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চাই। আমাদেরকে সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় দরকার নেই।

সুতারাং যারা অতিতে অন্য দলের সাথে যুক্ত ছিল, যারা চাদাবাজি, অপকর্মের সাথে জড়িত। যারা অন্য দলের পক্ষ হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তাদের দলে নেওয়ার দরকার নেই।”

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “যারা অতীতে অন্য দলের সাথে যুক্ত ছিল, যারা চাদাবাজি, অপকর্মের সাথে জড়িত। যারা অন্য দলের পক্ষ হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তাদের দলে নেওয়ার দরকার নেই। নেতৃত্বে আসবে তারাই, যারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করে আসছে, যারা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছে, দলের পাশে ছিল তারাই নেতৃত্বে আসবে।

নেতৃত্বের আসনে বসানোর ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি হচ্ছে তিনি দলের প্রতি কতটা বিশ্বস্ত , তিনি কতদিন ধরে দল করছেন এবং দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলেন কিনা, এসবই হচ্ছে নেতৃত্বের মাপকাঠি। কার কত পয়সা আছে, সেটা কোনভাবেই নেতৃত্ব দেওয়ার মাপকাঠি নয়। আমাদের দল গণমানুষের দল, যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ তারাই নেতৃত্বে আসবেন।”