অবশেষে সীতাকুণ্ডের মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু গ্রেফতার

অবশেষে সীতাকুণ্ডের মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু  গ্রেফতার
অবশেষে সীতাকুণ্ডের মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু গ্রেফতার

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

৪০ শ্রেণির নিরাপত্তা বয়লে থাকা দীর্ঘ দুই দশক ধরে ইয়াবা, মদ, গাঁজাসহ নানা প্রকার মাদকের কারবার চালিয়ে আশা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুখ্যাত ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ মিনু বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় আস্তানা বানিয়ে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময় দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ৯০০ পিস ইয়াবা ও ১ কেজি গাঁজাসহ মিনুকে ধরা পড়তে হয়েছে ।

মিনু বেগম কুমিরা সোনার পাড়া এলাকার মৃত তোফায়েল আহমেদ ও মৃত সায়েরা খাতুনের কন্যা ।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটায় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সোনারপাড়া এলাকা থেকে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাজ্ঞী মিনু বেগম কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকা থেকে সাগর ও সড়ক পথে ইয়াবার চালান নিয়ে আসতেন সীতাকুণ্ডের কুমিরার আস্তানায়। কয়েকবার জেল খাটলেও জামিনে এসে পুনরায় মাদকের কারবার করেন মিনু। সম্প্রতি সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ তাকে গ্রেপ্তারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন৷ সেই লক্ষ্য কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও মিনু পালিয়ে যায়। থানার কোন অফিসার মিনুকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করলে নামে-বেনামে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নামে অভিযোগ করে হেনস্তাও করতেন মিনু। এছাড়াও মিনুর রয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীসহ নিজস্ব বাহিনী। যারা স্থানে স্থানে পাহারা, ক্রেতাদের কাছে ইয়াবা, মদ ও গাজা পৌঁছে দেন।

স্থানীয়রা জানান, মিনু বেগম ভয়ংকর মাদক কারবারি। অসাধু কিছু প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে মিনু মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। পুরো সীতাকুণ্ড এলাকায় মাদকের ভয়াল থাবা ছড়িয়ে দিয়েছেন এই মিনু।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, মিনু বেগম একজন আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তার সঙ্গে বড় বড় মাদক মাফিয়ার সখ্যতা রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাতে নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে সে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আমরা কয়েক দফায় চেষ্টা করেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। অবশেষে গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, মিনু বেগমের বিরুদ্ধে ১২টি মাদক মামলা বিচারাধীন আছে। তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। মাদক বিক্রয় ও আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা মিনু স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;