সীতাকুণ্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বেকারী সিলগালা

সীতাকুণ্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বেকারী সিলগালা

এম কে মনির,সীতাকুণ্ড, চট্রগ্রাম ।।

সীতাকুণ্ড ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং খাদ্য উৎপাদনে নিষিদ্ধ সাল্টু, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেড কালার ও ফুড এসেন্স ব্যবহার এবং বিএসটিআই এর নকল লোগো ব্যবহারের দায়ে সীতাকুণ্ডে একটি বেকারী সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মধ্যম মাহমুদাবাদ এলাকায় এম.বি ফুডস্ এন্ড কনফেকশনারী বেকারীতে উক্ত অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়।

অভিযানের খবর পেয়ে বেকারীর মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।

সূত্র জানায়, উক্ত বেকারীতে দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।

বেকারীতে তৈরী করা খাদ্যের প্যাকেটে উৎপাদন তারিখ নেই, বিএসটিআই এর কোন লাইসেন্স নাই কিন্তু নকল লোগো ব্যবহার করছে। ফ্রিজে রাখা ডিমগুলো বেশ কয়েকমাস আগে যা নষ্ট হয়ে গেছে। বিস্কুট, কেক ও মিষ্টিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রং।

এব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায় বলেন, বেকারীটাতে অভিযানে গিয়ে যেন বোকা বনে গেলাম, এমন নোংরা ও স্যাতস্যাতে পরিবেশে খাদ্য তৈরী করছে দেখে। সেখানে দূর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। পঁচা ডিম আর বিষাক্ত রং দিয়ে তারা তৈরী করছে খাদ্য। বেকারীতে কাউকে পাওয়া যায়নি, সেটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে এবং বেশ কিছু খাদ্য জব্দ করে তা নষ্ট করা হয়েছে।

অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই এর অফিসার রাজিব দাশ গুপ্ত, সীতাকুণ্ড স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ফাতেমা আকতার।