এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ: ফোর্বস

এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ: ফোর্বস

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বৈশ্বিক আমদানি-রপ্তানি ধীরগতির হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ।  এরমধ্যও এবছর এশিয়ায় প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস ম্যাগাজিন এই পূর্বাভাস দিয়েছে। এদিকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে পূর্বাভাস পরিবর্তন করেছে।


ম্যানিলাভিত্তিক ব্যাংকটি জানিয়েছে, ২০২০ সালে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৫ শতাংশ। উন্নয়নশীল এশিয়ার এই গ্রুপে চীন ও ভারতসহ ৪৫টি অর্থনীতি রয়েছে, তবে ওই তালিকায় জাপান নেই।

এডিবি বলছে, এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য উত্তেজনা এখনও প্রাথমিক ঝুঁকি। কিন্তু কয়েকটি দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের প্রতিবেশীদের পেছনে ফেলবে। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হওয়ার তালিকায় রয়েছে-বাংলাদেশ, ভারত, তাজিকিস্তান, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম।

স্বল্প মজুরির টেক্সটাইল খাত, তৈরি পোশাক খাত ও জুতা শিল্পে বাড়তে থাকা বিদেশি বিনিয়োগের কারণে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-র হার ৮ শতাংশ হবে। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রতি বছর কমপক্ষে ৬ শতাংশ ছিল।

এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মারকিটের প্রধান অর্থনীতিবিদ রাজীব বিশ্বাস বলছেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মাসিক গড় মজুরি ১০১ মার্কিন ডলার (সাড়ে ৮ হাজার টাকা)। এ স্বল্প মজুরির কারণে দেশটিতে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।

প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে শীর্ষ এশীয় অর্থনীতি দেশ
বাংলাদেশ ৮%
ভারত ৭.২%
ভিয়েতনাম ৬.৭%
ফিলিপাইন ৬.২%
চীন ৬%
ইন্দোনেশিয়া ৫.২%
মালয়েশিয়া ৪.৭%

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ব্যবসা সহজ হওয়ায় বাংলাদেশে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সাড়ে ১৯ শতাংশ বেড়ে এক দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

এদিকে ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পরে এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হতে পারে ভারতের। ভারত এ অঞ্চলে ইলেক্ট্রনিকস পণ্য-সামগ্রীসহ উৎপাদন খাতের পাওয়ার হাউজ হতে চায়। যে কারণে চলতি বছর ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.২ শতাংশ।

এছাড়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত তাজিকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে। আর মিয়ানমারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ৬.৮ শতাংশ ও ভিয়েতনামের ৬.৭ শতাংশ।