পলোগ্রাউন্ড মাঠে উইম্যানস এসএমই এক্সপো উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

পলোগ্রাউন্ড মাঠে উইম্যানস এসএমই এক্সপো উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
পলোগ্রাউন্ড মাঠে উইম্যানস এসএমই এক্সপো উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

পলোগ্রাউন্ড মাঠে মাসব্যাপী ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল উইম্যানস এসএমই এক্সপো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে মহিলারা। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মহিলারা অনেক ক্ষেত্রে এগিয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে। এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে।

তিনি গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মাসব্যাপী ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল উইম্যানস এসএমই এক্সপো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এই মেলার আয়োজন করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে আমাদের লাইফ লাইন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। সেই বাণিজ্যে মহিলারা এগিয়ে এসেছে। এখন আমাদের আর কেউ ঠেকাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, সবক্ষেত্রে মহিলাদের এগিয়ে আসতে হবে। মহিলাদের উৎসাহিত করতে তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশকে এগিয়ে নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মহিলারা এগিয়ে না আসলে আমাদের লক্ষ্যপূরণ ব্যর্থ হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী এসএমই খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা দিয়ে আসছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে পুরুষদের চেয়ে নারীরা এগিয়ে। তাদের সততা, ঋণ পরিশোধের মানসিকতা পুরুষদের চেয়ে বেশি। মহিলারা যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। কোন ক্ষেত্রে মহিলারা পিছিয়ে নেই। এটা আমাদের জন্য গৌরবের।

ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের বন্দর ব্যবহার করতে চায়। কলকাতা বন্দরের চেয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে অনেক সুবিধা রয়েছে। এতে আমাদের দেশের রাজস্ব বাড়বে, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই বাংলাদেশটা হচ্ছে আমাদের। এ দেশ সবার। সবার মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ বানাতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। অসামম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নারী পুরুষ সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের আর কোন অন্য পথ নেই।

উইম্যান চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. মুনাল মাহবুব। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিসেস রিনা-পি- সোমারনো, এশিয়ান আরব চেম্বারের সভাপতি প্রিন্সেস ফে জাহান আরা, মালয়েশিয়ান ওয়ার্ল্ড চেম্বার অব কমার্সের ভিশন ও ডেভেলপমেন্টের প্রধান ড. দাতিন মালিগা সুব্রা মানিয়াম, ইন্ডিয়ান ইকোনোকিম ট্রেড অর্গানাইজেশনের (আইইটিও) প্রেসিডেন্ট ড. আসিফ ইকবাল, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক সভাপতি লায়ন কামরুন মালেক, ফ্যাশন ডিজাইনার এসোসিয়েশনের সভাপতি মানতাশা আহমেদ, পিআরআইএসএম প্রকল্পের টিম লিডার আলী সাবেত প্রমুখ।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, এই মেলা আমাদের জন্য মাইলফলক। দেশি-বিদেশিদের নিয়ে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর যেকোনো দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বে টার্মিনালের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি টাইম ফ্র্রেম দিতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে কন্টেইনার ট্রেন চালুর দাবি করেন তিনি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ৮ লাইনে উন্নত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ১৩ টনের অধিক পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের কোন জেলায় এই ধরনের নিয়ম না থাকলেও চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে তা করা হয়েছে। এটা চট্টগ্রামের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।