জনদুর্ভোগ নৌ-ধর্মঘটের কারণে

জনদুর্ভোগ নৌ-ধর্মঘটের কারণে
জনদুর্ভোগ নৌ-ধর্মঘটের কারণে

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের । ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা করা, মাস্টারশিপ পরীক্ষায় অনিয়ম বন্ধ করা, নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের 'হয়রানি' বন্ধ করাসহ ১১টি দাবি রয়েছে। এই ১১ দফা দাবিতে তারা ধর্মঘট কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর থেকে রাজধানীর সঙ্গে নৌপথে যান চলাচল বন্ধ  রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি নৌপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।

শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। লঞ্চ মালিকপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন করেনি। গত বুধবারের বৈঠক থেকেও তারা সুস্পষ্ট আশ্বাস পাননি। তাই শ্রমিকদের মতামতের ভিত্তিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন তারা।

তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করেছিলাম, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলাম। মালিকপক্ষ বলেছিল, আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ করে দেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দাবি দাওয়া পূরণ করেনি।

অন্যদিকে তার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার সদস্য হাম জালাল বলেন, নৌযান শ্রমিকদের মূল দাবিগুলো মেনে নিয়ে লঞ্চ মালিকপক্ষ ২০১৬ সালে নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে পাঁচ বছরের একটি চুক্তি করেছিল। সে চুক্তির মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হবে। তাই তাদের ধর্মঘটে যাওয়া অযৌক্তিক। তবে শাহ আলম বলেন, ওই সময় ১৫টি দাবির মধ্যে শুধু বেতন স্কেল ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি ১৪টি দাবি পূরণ করা হয়নি।