কর্ণেল ফোরকান তৃতীয় মেয়াদে কউক চেয়ারম্যান হলেন

কর্ণেল ফোরকান তৃতীয় মেয়াদে কউক চেয়ারম্যান হলেন
কর্ণেল ফোরকান তৃতীয় মেয়াদে কউক চেয়ারম্যান হলেন

কক্সবাজার প্রতিনিধি ।।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এর চেয়ারম্যান হিসাবে তৃতীয় বারের মতো নিয়োগ পেলেন লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ।

আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব মো. অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত ২৫২ নম্বর স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে যুগ্ম সচিবের মর্যাদায় তিনি বেতন ভাতাসহ সরকারি সুবিধা পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী ১৩ আগস্ট তাঁকে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নিয়োগের মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তী দিন অর্থাৎ আগামী ১৪ আগস্ট থেকে পরবর্তী ২ বছরের জন্য তাঁর তৃতীয় মেয়াদ শুরু হবে।

এর আগে আরো ২ মেয়াদে চার বছর কউক এর চেয়ারম্যান হিসাবে লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ দায়িত্ব পালন করছেন।

গত জানুয়ারিতে সরকার কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) এর চেয়ারম্যান এর পদটি যুগ্ম সচিবের মর্যাদায় উন্নীত করেছে।

লে. কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদের সংক্ষিপ্ত জীবনী :

লে. কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ ১৯৫৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলার ঈদগাহ ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী মো. নাজির হোসেন এবং মাতার নাম রূপবাহার বেগম। তিনি ১৯৭৪ সালে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণিতে পাশ করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৭৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হন।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী, ভাটিয়ারীতে যোগদান করেন। লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমেদ ১৯৮০ সালে সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন।

১৯৯৮-১৯৯৯ সালে তিনি ভারতের ওসমানীয়া ইউনিভার্সিটি হতে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স ইন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ (এমএমএস) ডিগ্রী লাভ করেন। একই সময়ে তিনি ভারতের কলেজ অব ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট হতে লং ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট কোর্স (এলডিএমসি) সমাপ্ত করেন। কমিশন লাভ করার পর তিনি বিভিন্ন পদ মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টে ডেপুটি কমানন্ডেন্ট হিসাবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে তিনি ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন।