সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় বিএনপি !

সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় বিএনপি !
সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় বিএনপি !

রাজনৈতিক ডেস্ক।।

হঠাৎ করেই বিএনপির হাইকমান্ডের ভেতর সমঝোতা ইস্যু চাঙা হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া বিএনপি সরকারের সঙ্গে হঠাৎ কেন সমঝোতা করতে চায়? রাজনৈতিক অঙ্গনে সে বিষয়ে চলছে জোর গুঞ্জন।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে দলটি সরকার গঠন করে। মাত্র ৩০ আসনে জিতে সেবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের আসনে বসে বিএনপি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ বিএনপি ভোট বর্জন করলে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপির ভরাডুবি হয়। টানা ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির নেতাকর্মী-সমর্থকরাও হতে থাকে নিষ্ক্রিয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থান গড়তে যখন মরিয়া তখন দলটির বিরুদ্ধে উঠেছে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জন। ছড়িয়েছে সমঝোতার পাঁচ দফাও।

শোনা যাচ্ছে, দলের শীর্ষ দুই নেতা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে চলেছেন। কেননা রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে হলে বিরোধী দলের সাথে সমঝোতা ছাড়া আর গতি নেই। এজন্য লন্ডনে গিয়ে তারেকের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন মধ্যস্থতাকারী ওই দুই নেতা। এ নিয়ে খোদ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সূত্রমতে, গত সেপ্টেম্বরে লন্ডনে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। দুই দফা বৈঠকে আলোচনার পর পাঁচ দফার একটি প্রস্তাব তৈরি করে বিএনপি, যা সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন ওই দুই নেতা।

সরকারের কাছে বিএনপির ‘সমঝোতা’ প্রস্তাবের পাঁচ দফা হলো—

১। শেখ হাসিনাকে প্রধান রেখে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন।

২। সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন।

৩। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি।

৪। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮০-১০০ আসনে ছাড় দিয়ে বিএনপিকে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদলে রাখা।

৫। সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার।

এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজপথে ফয়সালা করার মতো শক্তি বিএনপির নেই। ফলে সমঝোতা ছাড়া কোনো পক্ষেরই পথ খোলা নেই।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;