সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারিতে ৩০ বেডের করোনা আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন

সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারিতে ৩০ বেডের করোনা আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন
সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারিতে ৩০ বেডের করোনা আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।।

প্রাণঘাতী মহামারী করোনা রোগীদের সহায়তায় সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী বিজয় স্মরণী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার ।

আজ রবিবার (৫ জুলাই) সকাল ১১টায় করোনা আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি।

করোনাকালীন সংকট বিবেচনা করে সীতাকুণ্ডবাসী মানুষের সুচিকিৎসা প্রদানের লক্ষে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম-৪, সীতাকুণ্ড আসনের সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি’র সার্বিক সহোযোগিতায় ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন ও আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন সাহেবের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে।

উক্ত আইসোলেশান সেন্টার ও চিকিৎসা কেন্দ্রে ৬ জন এমবিবিএস ডাক্তার, ৯ জন নার্স এবং ৫৪ জন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কমী সেবা প্রদান করবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুরুদ্দীন রাশেদ, হাসপাতালের উদ্যোক্তা ভাটিয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজীম উদ্দীন এবং বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব মীর কামাল উদ্দিন, সমাজ সেবক জসিম উদ্দিন, ইউপি সদস্য আলমগীর মাসুম, মাঈন উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, রিপন, অহিদুল আলম সালাউদ্দিন, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি শাহীন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল, আহবায়ক কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন বাবলু, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, রানা, রাকিন এবং জাফর চৌধুরী, রিমন হোসেন( বক্কর)মোহাম্মদ রাশেদ, মোহাম্মদ তুষার, এন ইসলাম নুর।

এসময় সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সীতাকুণ্ড বাসীকে সচেতনতার সহিত কাজ করতে হবে। সীতাকুণ্ডে করোনা আক্রান্ত রোগী দিন দিন বাড়ছে। তাই সীতাকুণ্ডবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যাতে করোনা আমাদের আক্রমণ করতে না পারে,৩০ বেডের আইসোলেশান সেন্টারটি পর্যায়ক্রমে ৫০ শয্যায় উন্নত করা হবে।

চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে ভাটিয়ারী বিজয় সরণি কলেজ ক্যাম্পাসকে আইসোলেশান সেন্টার ও চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যেগ নিয়েছি। এতে করে এতদ অঞ্চলের করোনা আক্রান্ত রোগীদের তথা সীতাকুণ্ডবাসীরদের জন্য নতুন আরেকটি চিকিৎসার দ্বার খুলে গেলো।