সীতাকুন্ডে লক ডাউনে বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক’শ দোকান শ্রমিক, যুক্ত হচ্ছে নানা পেশায়

সীতাকুন্ডে লক ডাউনে বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক’শ দোকান শ্রমিক, যুক্ত হচ্ছে নানা পেশায়

নাছির উদ্দিন শিবলু , বিশেষ প্রতিবেদক ।।

প্রাণঘাতী করোনার পার্দুভাব বৃদ্ধির সাথে সরকারী নির্দেশনা অনুসারে সারা দেশে বন্ধ হয়ে পড়ে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ পরিস্থিতিতে সীতাকুন্ডে বন্ধের আওতায় আসে প্রায় ১ হাজার। এতে দীর্ঘ বন্ধের কবলে পড়ে প্রতি মাসে ব্যবসায় লোকসান গুনে কর্মচারী বিদায়ে বাধ্য হয়েছেন দোকানীরা। ফলে বেকার হয়ে পড়ে বিপনী বিতানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক দোকান শ্রমিকদের। পরবর্তীতে অভাব-অনটনে নানা পেশায় যুক্ত হন বেকার শ্রমিকরা।

বিপনী বিতান হতে চাকুরি হারানো শ্রমিক বলেন,‘ দীর্ঘদিন ধরে কাপড়ের দোকানে চাকুরীরত অবস্থায় করোনাকালীন সময়ে বেকারত্বে পড়েছি। ব্যবসা বন্ধ থাকায় মিলেনি বেতন-ভাতা। সর্বশেষ দোকান বন্ধ থাকা অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছে চাকুনি হতে। এখন আদা, রসুন ও পিয়াজের ব্যবসা চালিয়ে সংসারের বরন-পোষন করতে হচ্ছে। এছাড়া করোনা সংক্রামন রোধে খাবারের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় বেকারত্বে বোঝা নিয়ে দিনানিপাত করছে বহু শ্রমিক। এ অবস্থায় বেকারত্বের কবলে পড়ে বহু শ্রমিক নিজ এলাকায় ফিরে গেছে বলে জানান আপন রেস্তোরা মালিক মামুন।

তিনি বলেন,‘ করোনা সংক্রাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ হযে যাই ব্যবসা প্রতিষ্টান। এ অবস্থায় বিদায় দিতে হয়ে দোকানের সকল কর্মচারীদের। আর দীর্ঘদিন বন্ধের পর পুরোদমে ব্যবসা চালু না হওয়ায় কর্মচারীদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসার মৌসুমে করোনা মহামারীর কবলে পড়ে দেশ। সে সাথে লকডাউনের আওতায় আসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে দোকানের বিক্রি বন্ধ হয়ে পড়ায় দোকানের কর্মচারীদের বিদায় দিতে হয়েছে বলে জানান নাহার প্লাজার দোকানী শাহজান। তবে লকডাউন তুলে নেয়া হলেও ব্যবসায় মন্দাভাব চলায় কর্মচারী ছাড়ায় চলছে অধিকাংশ দোকান। যে কারনে আসা-নিরাশার দোলাচলে জীবন পার ককরছে কয়েক’শ কর্মচারী।

এ বিষয়ে বাজার কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম বাহার বলেন,‘ লক ডাউনের কারনে বেকারত্বে জীবন কাটাচ্ছে বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। লকডাউন বন্ধ হলেও ব্যবসার অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান। আর এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে খুবদ্রুত দোকান মালিকদের বিপাকে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।