সীতাকুণ্ডে রং বিলাশ আখ চাষ করে লাভবান কৃষক

সীতাকুণ্ডে  রং বিলাশ আখ চাষ করে লাভবান কৃষক
সীতাকুণ্ডে রং বিলাশ আখ চাষ করে লাভবান কৃষক

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

সীতাকুণ্ডের উর্বর মাটিতে আখ চাষ করে ভাল ফলন পাচ্ছেন কৃষক। তাছাড়া আখের ভাল দামও পাচ্ছেন তারা। ছোট জাতের একটা আখ ৫০ টাকা সর্ব নিম্ন। গড়ে প্রতি পিচ ৮০/১২০ টাকা করে হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এবার বৃষ্টির মাত্রা কম হওয়ায় আখ খুব মিষ্টি বলে জানিয়েছে কৃষক। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি প্রধান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে আখ। আখ শব্দের উৎপত্তি ইক্ষু থেকে। আখ হলো বাঁশ ও ঘাসের জাতভাই। এটি পোয়াসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর রস চিনি ও গুড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চিনি ও গুড়ের চাহিদা। আর চাহিদার তুলনায় চিনি ও গুড়ের উৎপাদন খুবই অপ্রতুল। বাড়তে থাকা চিনি ও গুড়ের চাহিদা মেটাতে সরকারী ভাবে আখ চাষে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। আখের উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট চাষীদের উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ সহ দিয়ে যাচ্ছে কারিগরি প্রশিক্ষণ। ফলে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ইকোপাকের্র পাহাড় সংলগ্ন সমতল ভূমিতে বাড়ছে আখ চাষীদের তালিকা।

সীতাকুণ্ডের ইকোপার্ক ছাড়াও ফকিরহাট, মুরাদপুর, বাঁশবাড়ীয়া, কুমিরা, সৈয়দপুর, মিরেরহাট, টেরিয়াইল ও বারৈয়াঢালা সহ উপজেলার সর্বত্র কম বেশি আখের চাষ হয়। আখ চাষের উপযোগী বেলে দো-আঁশ অথবা পলি দো-আঁশ মাটি। সমতল ভূমির পাশাপাশি ন্যাড়া পাহাড়ের সুবিধাজনক স্থানেও আখের চাষ হয়। বাণিজ্যিক ভাবে আখ চাষের সাফল্যে চাষীদের মাঝে জেগেছে ব্যাপক সাড়া। চাষ উপযোগী ভূমিগুলোর বাড়ছে ভৌগোলিক গুরুত্ব। 

সীতাকুণ্ডের সফল আখ চাষী শফিউল আলম জানান, এবার সাড়ে ৬ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে আখ বিক্রি শুরু করেছি।

তিনি আরো জানান খুচরা বাজারে বড় সাইজের রং বিলাশ আখ ৭০-৮০ টাকা, মাঝারি সাইজের আখ ৫০-৬০ টাকা এবং ছোট সাইজের আখ ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বিক্রেতা ৫০ টাকা দরে ক্ষেত থেকে আখ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

চাষী মাহবুবুল আলম জানান গত সপ্তাহে ১ শতক জমির আখ পাইকারী ভাবে বিক্রি করেছি। ক্ষেতের সমস্থ আখ ঠিকমতো বিক্রি করতে পারলে ভালো মুনাফা পাওয়ার আশাবাদী তিনি।

অন্যদিকে ইকোপার্কের টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের জানান, বর্তমান বাজারে ইকোপার্কের আখের রয়েছে বিশেষ চাহিদা। ইকোপার্কের আখ শুনলে বেড়ে যায় ক্রেতাদের আগ্রহ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ জানান, পাহাড়ি পলি মাটিতে উর্বর ইকোপার্কের জমিগুলো আখ চাষে বেশ উপযোগী হয়ে উঠেছে। আখ চাষের উপযোগী উর্বর জমিগুলো কয়েক দফা পরিদর্শন করা হয়েছে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ফসল বাঁচাতে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের যথা সময়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আখের উৎপাদন বৃদ্ধিতে স্থানীয় চাষীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;