সীতাকুণ্ডে মুসল্লিদের ওপর মদ্যপ মেম্বারের হামলা, আহত ৩
পোস্টকার্ড নিউজ ।।
ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লিদের উপর হামলা চালিয়েছে মাদকাসক্ত এক ইউপি সদস্য। তার নাম রবিন চৌধুরী। তিনি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। দুই সহযোগীসহ তার হামলায় কামাল উদ্দিন (৬৫), মুসলিম উদ্দিন (৫০) ও আরাফাতুর রহমান (৩৫) নামে তিন মুসল্লি গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মাদামবিবিরহাট জাহানাবাদ (চেয়ারম্যানঘাটা) ইমাম হোসাইন জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পর মুসল্লিরা মাদকাসক্ত ইউপি সদস্য ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে একটি কক্ষে আটকে রেখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোন দেন। খবর পেয়ে বিকেলে প্যানেল চেয়ারম্যান ইয়াকুব ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তার উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য রবিন চৌধুরী নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। পরে উভয়ের মধ্যস্থতায় ছাড়া পান ইউপি সদস্য রবিন।
হামলায় আহত কামাল উদ্দিন ও আরফাতুর রহমান জানান, ভোরে ফজরের নামাজ থেকে বের হওয়া মুসল্লিদের ওপর মাদকাসক্ত ইউপি সদস্য রবিন এবং নুরুদ্দিন ও নেজাম উদ্দিন নামে তার দুই সহযোগী চড়াও হন। এসময় তারা মুসল্লিদের উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। তারা অশালীন গালমন্দের প্রতিবাদ জানালে ইউপি সদস্য ও তার দুই সহযোগী মুসল্লি মুসলিম উদ্দিনসহ তাদের দুজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা দুই সহযোগীসহ ইউপি সদস্যকে আটক করে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বৈঠকের আশ্বাস দিলে তাদের তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিন চৌধুরী বলেন, মসজিদের পাশেই তার শ্বশুরবাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের কারণে তিনি নিজেকে সামলাতে না পেরে অতিরিক্ত নেশা করেছিলেন। যার কারণে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইয়াকুব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে রবিন তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি মুচলেকা প্রদান করেন। ঢাকা থেকে চেয়ারম্যান ফিরলে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বৈঠক হবে বলে জানান তিনি।
মুচলেকা দিয়ে ইউপি সদস্যকে নিয়ে আসা ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নাজিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরই সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ ফোনে আমাকে বিষয়টি জানান। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি শেষ করতে বলেন।
সীতাকুন্ড মডেল থানার (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, হামলার ঘটনা আমি সকালে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;
