সীতাকুণ্ডে কাজে আসছে না যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, পিছিয়ে পড়ছে আত্নকর্মসংস্থান প্রত্যাশীরা

সীতাকুণ্ডে কাজে আসছে না যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, পিছিয়ে পড়ছে আত্নকর্মসংস্থান প্রত্যাশীরা
সীতাকুণ্ডে কাজে আসছে না যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, পিছিয়ে পড়ছে আত্নকর্মসংস্থান প্রত্যাশীরা

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

যুবক-যুবতিদের আত্নকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন অধিদফতরের অধীনে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষন কর্মশালা প্রদান করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যলয়। জেলা উপজেলা দপ্তরের অধীনে বেকার যুবক-যুবতিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের উদ্বোধনও করা হয়। বিনা খরচে সম্পূর্ন সরকারী তত্ত্ববধানে ভাতার অধীনে ১৮-৩০ বছর বয়সীদের প্রশিক্ষনের আওতায় আনা হয়। বেকারত্ব দুরীকরনের লক্ষে কর্মনিৰ্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠায় ৭২টি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু ৭২ টি প্রশিক্ষনের স্থলে ৭-৮ টি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্তব্য কর্ম শেষ হওয়ায় নতুন নতুন কর্মসংস্থানে পিছিয়ে পড়ছে যুবক-যুবতিরা। এছাড়া বরাদ্দকৃত অর্থ নয়-ছয় করে প্রচার প্রচারণা না করে একই লােককে বারবার প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন কারও অভিযােগ রয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে যুবক-যুবতিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতর। প্রশিক্ষন উপকরণ, নগদ অর্থসহ নানা সুবিধার প্রদানের প্রেক্ষিতে যুবক-যুবতিদের প্রশিক্ষন হয়ে থাকে। তবে, একাধিক প্রশিক্ষনের স্থলে সেলাই প্রশিক্ষণকে প্রাধান্য দিয়ে বাৎসরিক প্রশিক্ষন কর্মসূচী ইতি টানা হয়। বরাদ্দের বিপরীতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চালিয়ে গেলেও প্রশিক্ষণ বাবদ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রশিক্ষণার্থীরা। তাছাড়া নানা অজুহাতে এসব অর্থ আত্মসাত করে বলে অভিযােগ উঠেছে। এছাড়া নতুন নতুন প্রশিক্ষনার্থী সৃষ্টির পরিবর্তে গুটি কয়েক অল্প সুদের বিশেষ ঋন সুবিধা দিয়ে চলে লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্য।

যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, বেকার যুবক পাওয়া খুব কঠিন। তাই প্রশিক্ষণের স্বার্থে যাকে যেভাবে পাওয়া যাই তা দিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ করা হয়। ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা না থাকায় যুবক-যুবতিরা প্রশিক্ষণে আগ্রহ হারাচ্ছে বলে জানান তিনি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;