বারো মাসি রূপবান শিমে সীতাকুণ্ডের কৃষকের মুখে হাসি

বারো মাসি রূপবান শিমে সীতাকুণ্ডের কৃষকের মুখে হাসি
বারো মাসি রূপবান শিমে সীতাকুণ্ডের কৃষকের মুখে হাসি

বিশেষ প্রতিবেদক, পোস্টকার্ড ।। 

শীত মৌসুম ছাড়া বছরের অন্য সময়টাতে শিম চাষ না হলেও শিম রাজ্য খ্যাত চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলায়  রূপবান জাতের শিমের চাষাবাদ এখন লক্ষণীয়। যা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে এ অঞ্চলের কৃষককূলের কাছে। বারো মাসি রূপবান শিম চাষে কৃষকের মুখে এখন হাসি ফুটেছে। বছরের যেকোন সময় এ শিম চাষের উপযুক্ত বলে কৃষকের আগ্রহের কমতি নেই।

তাদেরই একজন বাড়বকুণ্ডের নুরুল আলম।তিনি ৪ বছর ধরে পাহাড়ি ঢালু জায়গায় ২ হেক্টর এলাকাজুড়ে করেছেন রূপবানের চাষ। জেষ্ঠ্যের শেষে বীজ বপন করে তিনমাস কঠিন খাটুনির মাধ্যমে তার শিম ক্ষেত এখন ফুলে ফুলে সুশৌভিত।ভাদ্রের শুরুতেই নুরুল আলমের শিম গাছে ফলনের দেখা মিলেছে। ইতিমধ্যে তিনি ৪০ কেজি শিম বাজারজাত করতে সক্ষম হয়েছে যার আশানুরূপ দামও তিনি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। 

রূপবান শিম চাষি নাঈম উদ্দীন বলেন, বাড়বকুণ্ড এলাকায় আমার মতো অনেকেই রূপবান চাষে ঝুঁকছে। যা পাহাড়ের ঢালু টিলা থেকে চোখে পড়ে। এ বছর আমি রূপবান শিমের বীজ,সার,কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরিসহ প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছি।প্রতি বছর আমি ৪-৫ লক্ষ টাকার শিম বিক্রি করি।এ বছরও ফলন ও দামের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।এ এলাকায় এখন সবমিলিয়ে বারো মাসি রূপবান শিম চাষীর সংখ্যা পঞ্চাশের কৌটায়।তাদের প্রত্যেকেই অতিতের মতো বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ার আশাবাদী। রূপবান শিম বারো মাসি হওয়ায় বছরের যেকোন সময় চাষাবাদের উপযোগী। বছরের অন্য সময়ে শিম অপ্রতুল বলে এ শিমের দামও বেশি।দাম ও ফলনকে প্রাধান্য দিয়ে রূপবান শিম চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে রূপবান চাষী বাড়বে বলে জানান কৃষকেরা।

এ বিষয়ে উপ সহকারী কৃষি অফিসার নাজিম উদ্দীন বলেন,রূপবান শিম মূলত শীতকালীন সবজি। তবে এখন সারাবছর এর চাষাবাদ হচ্ছে। বাড়বকুণ্ডে বর্তমানে ৫-৬ হেক্টর জমিতে রূপবানের চাষ হচ্ছে। রূপবান শিম উৎপাদন বৃদ্ধি  করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সবসময় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ভালোভাবে বর্ষা মৌসুমে রূপবান শিমের বীজ সংগ্রহ করতে পারলে আগামীতে এ জাতীয় শিমের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, রূপবান শিম চাষে খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও এ শিমের বাজার দরও বেশি। আর তাই কৃষকরাও রূপবান শিমে আগ্রহ দেখাচ্ছে।