পেশাদার সাংবাদিকদের ভূঁয়া প্রতারক অপপ্রচার করায় সাইবার ক্রাইম আদালতে মামলা

পেশাদার সাংবাদিকদের ভূঁয়া প্রতারক অপপ্রচার করায় সাইবার ক্রাইম আদালতে মামলা
পেশাদার সাংবাদিকদের ভূঁয়া প্রতারক অপপ্রচার করায় সাইবার ক্রাইম আদালতে মামলা

জান্নাতুল মাওয়া, মীরসরাই ।।

দৈনিক আজকালের দর্পণ (রেজী: নং চ-৭২১) পত্রিকার সাংবাদিক অলি উল্লাহ নিজামীকে ভুঁয়া প্রতারক অপপ্রচার করে সংবাদ প্রচার করায় ৫ জনকে আসামী করে সাইবার ক্রাইম আদালত চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেছেন । মামলা নং সাইবার ক্রাইম আদালত চট্টগ্রাম ৩৭/২১ইং ।  

জানা যায়, চাঁদপুরের মাহবুবুর রহমান পলাশ চট্টগ্রামের মীরসরাই এসে গড়ে তোলে মিডিয়ার সাম্রাজ্য । বিগত জামাত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে হয়েছেন বিত্তশালী। নামে বেনামে বিশাল ভবন, ইটের ফিল্ড এমনকি সরকারি পাহাড় করেছেন জবর দখল।

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নিজেকে আওয়ামীলীগ দাবী করে ভোল পাল্টে আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। তার এলাকায় কোন সাংবাদিক ক্রাইম নিউজ সংগ্রহ করতে পারবে না। তার কথার বাহিরে কেউ সংবাদ প্রচার করলেই ভূয়া সাংবাদিক প্রতারক বলে দলবল নিয়ে অপপ্রচারে নেমে পড়ে। তার সাথে আঁতাত করে চলতে হয় প্রশাসনকে। না হয় আজেবাজে নিউজ করার কথা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ অনেক।

এমনই এক ঘটনায় সরকারি রেজিষ্ট্রেশন করা দৈনিক পত্রিকার এক সৎ সাহসী সাংবাদিককে ভূয়া বলে প্রচার করেছে পলাশের খবরিকা ২৪ ডটকম অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালে অপপ্রচার চালান, মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদীর এক আত্মীয় থানায় একটা অভিযোগ নিয়ে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে এই পলাশ, মারার জন্য উধ্যত হয়েছিল। সেই বিষয় নিয়ে বাদী চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করেন।

এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বাদীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছিল। মিথ্যা, তথ্য বিহীন ও বাদীর কোন বক্তব্য না নিয়ে পেশাদার সাংবাদিককে সমাজে রাষ্ট্রে হেয় প্রতিপন্ন করতে ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের মাধ্যমে অপপ্রচার করে সাইবার ক্রাইমে অপরাধ করেছেন। তাই ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিক অলি উল্লাহ নিজামী নিজের প্রাণ বাঁচাতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন । মামলা নং সাইবার ক্রাইম আদালত চট্টগ্রাম ৩৭/২১ইং-ধারা-২৫/২৯..

মামলায় ২নং আসামি মো,জাবেদ এডমিন বড়তাকিয়া নিউজ ২৪ ডটকম.পলাশ মাহবুবের মদতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ও অনিবন্ধিত ফেসবুক ফেইজে কপি করে একই ছবি ব্যবহার করে মনগড়া মিথ্যা অপপ্রচার করে। যেখানে লেখা হয়েছে এরা নিজেরা সাংবাদিক নয়, নিজেরা আইডি কার্ড বানিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রাখে এরকম অজস্র অপপ্রচার করে সাইবার ক্রাইমে অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ মামলায়।

৩নং আসামি নয়ন কান্তি ধুম নিজের এফবিতে শেয়ার করেছিলেন অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল চলমান সংবাদ ২৪ ডটকম এ প্রচারিত কপি করা একই নিউজ। আরো ২ জন আসামি মামলায় সংযুক্ত রয়েছে বলে জানা যায়।

এবিষয়ে মামলার বাদী অলি উল্লাহ নিজামী বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা সকলের আইডি লিংক স্ক্রীনশর্ট অডিও কল রেকর্ড সব কিছু তদন্ত কর্মকর্তাকে দিয়েছি। বাকিটা তদন্ত কর্মকর্তার দাঁয়িত্ব। আমি ছোট মানুষ কারো ক্ষতি করিনি, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে বা পত্রিকায় প্রচারিত করেছে তারা প্রমাণ করুক দেশের প্রচলিত আইনে কোন আদালতে আমি প্রতারক হিসেবে দন্ডিত হয়েছি।

আমি যদি চাঁদাবাজি করি তথ্য উপাত্ত থাকবে আমার বক্তব্য নিবে। কিন্তু কে কোথায় অভিযোগ দিল সেটা বড় অংকের টাকার বিনিময়ে আমার ছবি ব্যবহার করে প্রতারক চালিয়ে দিবে তা তো হবে না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আদালত যা বিচার করবে তা মাথা পেতে নিব।বাদী আরো বলেন, ডিজিটাল মামলা করার পরে ১নং আসামি মাহবুব পলাশ আমাকে ফোন করে বলেন,আমার ভুল হয়েছে সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ের কিছু কথিত সাংবাদিকদের প্ররোচনায় এই ভুলটা হয়েছে, মাপ চেয়েছে অনেকবার।

বাকি জীবনে এ ধরনের ভুল করবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। নিউজটা নিজের ফেসবুক ও খবরিকা ২৪ ডটকম হতেও মুছে ফেলেছেন বলে স্বীকার করেছেন।উল্লেখ্য এদের তিনজনের অনলাইনে অপপ্রচারের পরে একই ছবি ও একই মিথ্যা ও সাজানো অপপ্রচারটি শেয়ার করেছেন অনেক আবার দেশের স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিকেও একই ছবি কপি করে নিউজ করে যা তদন্তে বের হয়ে আসবে বলে জানা যায়।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের এক পুলিশ পরিদর্শক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, প্রায় উপজেলায় এধরণের কর্মকান্ড চলছে,প্রশাসনকে জিম্মি করে অনেক কাজ করতে চায়,নতুন ও তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকদের কিছু সিনিয়র সাংবাদিক কাজ করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।তবে প্রশাসন সাংবাদিকদের বিষয় নিয়ে মাঝামাঝি অবস্থানে আছে বলে জানা গেছে।তবে কেউ ছাড় পাবে না।

আইনের উর্ধ্বে কেউ নন। মহামান্য সাইবার ক্রাইম আদালত চট্টগ্রাম ৩৭/২১ মামলাটি দেশের জনপ্রিয় ও সাহসী রিপোর্ট দেয়া কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটকে ১মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাঈদ তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষ হলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা যায়।