প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হচ্ছে

প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হচ্ছে
প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হচ্ছে

শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক ।।

প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস মধ্যে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, মহামারীর প্রকোপ কমলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে এ বছরের মধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষাবর্ষ শেষ করা হবে। আর সেপ্টেম্বরে স্কুল না খুললে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ শিক্ষাবর্ষ দীর্ঘায়িত হতে পারে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখনই খুলুক, এবার প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে সরকারের এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। 

মহামারীর কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আপাতত ৬ অগাস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে রেখেছে সরকার, যদিও এরপর স্কুল খোলা যাবে কি না, সে নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি।

‘করোনায় প্রাথমিক শিক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে জাকির হোসেন বলেন, সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা গেলে শিক্ষাবর্ষের ব্যাপ্তি আর না বাড়িয়ে ডিসেম্বরেই তারা শেষ করতে চান। তবে প্রয়োজনে চলতি শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে এবং পরের শিক্ষাবর্ষ কমিয়ে আনার পরিকল্পনাও রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষাবর্ষ আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে রাশেদ রাব্বী নামে একজন অভিভাবক বলেন, তার দুই সন্তান ঢাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে। সংসদ টিভির ক্লাস তাদের খুব কম কাজে আসছে, কারণ এই টিভির শব্দ ও ছবি নিম্নমানের।

ইরাব সভাপতি মুসতাক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক, সমকালের প্রতিবেদক সাব্বির নেওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ইরাবের সাংগাঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ জসীম অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।