চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিচ্ছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর সাহা!

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিচ্ছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর সাহা!
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিচ্ছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর সাহা!

মামুনুর রশিদ ।।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) প্রশাসক কে হচ্ছেন ? এমন প্রশ্নের উত্তরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। গত রবিবার পর্যন্ত বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ একাধিক সিনিয়র রাজনৈতিক নেতার নাম বেশ আলোচনায় দেখা যায়। তবে বিভিন্ন নির্ভর যোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে দলীয় কেউ প্রশাসক হচ্ছেনা। প্রশাসন থেকে প্রশাসক করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করাসহ সর্ব শেষ গত ২০১৫ সনের মার্চের ১১ তারিখ চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার পদে বিশ্বস্থতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করায় চট্টগ্রাম নগরীর রাজনৈতি পরিবেশ থেকে শুরু করে প্রত্যেক কিছুর ব্যাপারে যতেষ্ট পরিমাণ অভিজ্ঞতা থাকায় তাকে চসিকে প্রশাসক করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাঁর দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জ হলেও চট্টগ্রামের রাউজানে শ্বশুর বাড়ি। তবে তাঁর পরিবার আমেরিকায় অবস্থান করায় গত ২৫ জুন থেকে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। আজ থেকে অফিসে যোগদান করার কথা রয়েছে । কেন দীর্ঘদিন থেকে তিনি চট্টগ্রামে ? নগরীতে আ.লীগের রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এই দুই গ্রুপের মধ্যে কোনটির সাথে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক রয়েছে কিনা ? এছাড়া আরো দুই একটি প্রশ্নের মধ্যে ব্রেকেট বন্ধী হয়ে আছেন তিনি। এইসব প্রশ্নের উত্তর পজেটিভ হলে , তিনি হবেন চসিকের প্রশাসক। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি সততা ও বিশ্বস্থতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চট্টগ্রামকে ভালবেসে চট্টগ্রামেই থেকে গেছেন।

উল্লেখ্য,গত ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী পর্ষদের মেয়াদ পাঁচ বছর। এই হিসাবে বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। নিয়মানুযায়ী মেয়াদপূর্তির ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসাবে ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করেন ইসি।

স্থানীয় সরকার আইনে বলা আছে, কোনো সিটি কর্পোরেশনের পর্ষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সরকার নতুন পর্ষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দেবে। প্রশাসকের কাজে সহায়তার জন্য সরকার প্রয়োজন মনে করলে একটি কমিটিও করে দিতে পারবে। প্রশাসক এবং সেই কমিটির সদস্যরা মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে তাদের মেয়াদও হবে ১৮০ দিন। আইনের এ পথ ধরেই এখন প্রশাসক নিয়োগ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নির্বাচন কমিশন এ মুহূর্তে স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচন করতে চায় না বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রশাসক নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন।