করোনারোগী দুবার নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ‘সুস্থ’ সাব্যস্ত হবে, নতুন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য কর্তারা

করোনারোগী দুবার নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ‘সুস্থ’ সাব্যস্ত হবে, নতুন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য কর্তারা
করোনারোগী দুবার নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ‘সুস্থ’ সাব্যস্ত হবে, নতুন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য কর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

করোনায় আক্রান্ত রোগীকে ‘সুস্থ’ হিসেবে ঘোষণার জন্য আগের মতো দুবার নমুনা পরীক্ষা করতে হবে না। আইসোলেশনে থাকার ১৪ দিনের মধ্যে শেষের তিন দিন যদি রোগীর মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা না যায়, তাহলে তাকে ‘সুস্থতার’ ছাড়পত্র দেওয়া যাবে। এজন্য নমুনা পরীক্ষার আর দরকার হবে না। মূলত অপ্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করতেই স্বাস্থ্য অধিদফতর এমন অভিনব সিদ্ধান্তে এসেছে।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর সুস্থতার ছাড়পত্র নিতে আরও দুই দফা নমুনা পরীক্ষা করাতে হয়। পরপর দুবার ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট আসলেই কেবল আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। নতুন সিদ্ধান্ত চালু হওয়ার পর এই দুটো নমুনা পরীক্ষা করানোর আর প্রয়োজন হবে না। কারও করোনা শনাক্ত হলে ১৪ দিন আইসোলেশনে কিংবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শেষের তিনদিন যদি ওই রোগীর মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা না যায় তাহলে তিনি ‘সুস্থ’ বলে বিবেচিত হবেন।

অন্যদিকে ১৪ দিন পর্যন্তও যদি কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকে, তাহলে ওই উপসর্গ শেষ হওয়ার পরপর তিন দিন যদি কেউ ওষুধ ছাড়া সুস্থ থাকেন, তাহলেও তিনি ‘সুস্থ’ বলে বিবেচিত হবেন।

‘অপ্রয়োজনীয়’ নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এমন অভিনব সিদ্ধান্তে এলেও চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ সারা দেশেই এখন নমুনা পরীক্ষা করাতে মানুষের মধ্যে অনাগ্রহ বেড়েছে। কিছুদিন আগেও যেখানে চট্টগ্রামে করোনার নমুনাজট ছিল ভয়াবহ পর্যায়ে, সেখানে এখন নমুনা না পাওয়ায় ল্যাবগুলোতে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত তিন দিন সিভাসু ল্যাবে করোনা কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি শুধুমাত্র নমুনা না থাকায়। সিভাসুই শুধু নয়, একইসঙ্গে অন্য ল্যাবগুলোতে কমে আসছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা।

জুনের শেষ সপ্তাহেও চট্টগ্রামের তিনটি ল্যাবেই ১৩০০ থেকে ১৫০০-এর মতো নমুনা প্রতিদিন পরীক্ষা করা হলেও একই সক্ষমতা নিয়ে গত কয়েকদিন চট্টগ্রামে পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৪০০ থেকে ৬০০ করে নমুনা। মানুষ টেস্ট করাতে যাচ্ছে না বলেই এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ল্যাবগুলো।

স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন টেস্ট করাতে নানামুখী ভোগান্তি ও টেস্টের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে টেস্ট করার আগ্রহ কমেছে। টেস্টের ভোগান্তি ছাড়াও ফলাফল পাওয়া নিয়ে ৮-১০ দিন অপেক্ষায় থাকা নিয়ে মানুষের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করানোর আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে।