করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সীতাকুণ্ড থানার অভিনব উদ্দ্যোগ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সীতাকুণ্ড থানার অভিনব উদ্দ্যোগ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।।

একটি বক্স স্থাপন করা হয়েছে থানার গেটে । তাতে দেওয়া আছে মাইক্রোফোন। সেবাপ্রার্থীরা এই বক্সে দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোনে কথা বলে নিজের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন অন্তত ২৫ ফুট দূরে থাকা ডিউটি অফিসারের কাছে। সব শুনে জিডি অথবা মামলা দায়ের করে সেবাপ্রার্থীকে সহযোগিতা করবেন ডিউটি অফিসার।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পদক্ষেপ হিসেবে গতকাল বুধবার থেকে এই অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সীতাকুণ্ডে দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের একজনের বাড়ি পৌর সদরের গোডাউন রোডে এবং অপরজনের বাড়ি ফৌজদারহাটে। এই দুজন আক্রান্ত হবার পর এখানে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সচেতন মহল নানান পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এরপরও অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত হচ্ছে না। তাই গতকাল বুধবার থেকে সীতাকুণ্ড মডেল থানা তাদের সেবাপ্রার্থীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে করোনা সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে নতুন এক উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিক জানান, এখানে আসা সেবাপ্রার্থীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আমরা থানার মূল ফটকে একটি বক্স করে সেখানে মাইক্রোফোন স্থাপন করেছি। সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা আগত প্রার্থীদের নিয়ে গিয়ে বক্সে মাইক্রোফোনটা দিলে তারা ওই মাইক্রোফোন থেকে অন্তত ২৫ ফুট দূরের ডিউটি অফিসারের কক্ষে থাকা দায়িত্বরত অফিসারের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। সব শুনে ডিউটি অফিসার অভিযোগ বা মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করেন। এভাবে আমরা নিজেরাও নিরাপদে থাকছি, আগত সেবাপ্রার্থীদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। এদিকে এই উদ্দ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়েছেন সেবাপ্রার্থীরাও।

সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বাসিন্দা মোঃ আবুল কালাম বলেন, আমি থানায় একটি সমস্যা নিয়ে গিয়ে দেখলাম যে তারা আমাকে গেট থেকেই ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ সদস্যরা সবাই আমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে ছিলেন আমিও দূরে ছিলাম। এই পদ্ধতি মেনে চললে থানায় এসে কারো করোনা সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা থাকবে না বলে অভিমত তার।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সবাই যেন নিরাপদে থাকেন সে লক্ষেই আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি। সেবা নিতে এসে কেউ যেন উল্টো করোনা না ছড়ায় কিংবা নিজে আক্রান্ত না হয় সে লক্ষেই কাজ করছি আমরা।