করোনা রোগীর চিকিৎসায় কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের ক্যারাভান হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু
পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।
প্রাণঘাতী করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য দেশে হাসপাতাল সংকট দেখা দিতে পারে। আর সে জন্যই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মত এবার হাসপাতাল নির্মাণে এগিয়ে এসেছে চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কাশেম-নূর ফাউন্ডেশন।
প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে রাজধানীর মিরপুর বাংলা কলেজে এ হাসপাতাল স্থাপন করা হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে এ সপ্তাহে হাসপাতালটি স্থাপনের কাজ শুরু হবে। করোনা রোগীর আইসোলেশনের জন্য এ ধরনের হাসপাতাল খুবই উপযোগী বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। ২৫টি ভ্রাম্যমাণ কনটেইনারে করে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ক্যারাভান হাসপাতাল। প্রাথমিক পর্যায়ে এ হাসপাতালে ২০টি আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে ৭২টি সাধারণ শয্যা। তবে পুরো হাসপাতালই হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
সরকার চাইলে পরবর্তীতে এটির কার্যক্রম সমপ্রসারণও করা যাবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
কাশেম-নূর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান ও কেএন হারবার কনসোর্টিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ৪০ ফুট দীর্ঘ ১১টি এবং ২০ ফুট দীর্ঘ ১৪টি ভ্রাম্যমাণ অবকাঠামো রয়েছে। এগুলোর ভেতরে ডাইনিং, লন্ড্রি, কনফারেন্স কক্ষ ও জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাসকূপ খননের কাজে এগুলো ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে খনন বন্ধ থাকায় আমরা এগুলো মানবতার সেবার কাজে ব্যবহার করতে চাই। করোনা রোগীর আইসোলেশনের জন্য এ ধরনের হাসপাতাল খুবই উপযোগী বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকায় পেট্রোবাংলার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের গ্যাসকূপ খনন এলাকায় বর্তমানে এসব ক্যারাভান কন্টেনার আছে। এতদিন এগুলোয় কূপ খননের কাজে (ড্রিলিং) জড়িত সাতটি দেশের নাগরিক থাকতেন।
এ ধরনের একটি হাসপাতাল স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করে গত ১১ এপ্রিল সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে কাশেম-নূর ফাউন্ডেশন। গত ১৪ এপ্রিল থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। কাশেম-নূর ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা বলেন, হাসপাতাল স্থাপনের ব্যয় সংস্থাটিই নির্বাহ করবে।
তবে সরকারি নিয়ম মেনে সেখানে চিকিৎসা হবে। আর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করবেন সরকারি কর্মকর্তারা। পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে প্রায় আট কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এ ধরনের হাসপাতালের ব্যাপারে সরকারকে চিঠি দিয়েছে।