কাজে লাগাতে হবে সর্বোচ্চ সক্ষমতা: করোনা প্রতিরোধে সার্ক নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী

কাজে লাগাতে হবে সর্বোচ্চ সক্ষমতা: করোনা প্রতিরোধে সার্ক নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

মহামারীর আকার নেওয়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি, এখন আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের একে অন্যের সহযোগিতা করতে হবে। আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। এমনকি যদি টেকনিক্যাল লেভেলেও যদি ভিডিও কনফারেন্সের প্রয়োজন হয় সেটা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, আমি আশা করছি, এই সম্মেলন করোনা মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে নতুন পথের দিশা দেবে।
রোববার বিকালে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সমন্বিত কর্মসূচি ঠিক করতে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন সার্কভুক্ত আট শীর্ষ নেতা। এতে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে নিজের প্রস্তাবনায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সার্ক দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে এমন একটি ভিডিও কনফারেন্সের প্রস্তাব দেন, যাতে সবাই অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারেন। জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে জন্য একটি ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যেন ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি। বাংলাদেশ এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারে, যদি আপনারা একমত হন। একটি ফোরাম গঠন করা যেতে পারে। আমরা আমাদের বিশেষজ্ঞদের শেয়ার করতে প্রস্তুত আছি। লজিস্টিক সাপোর্ট দেব, যদি প্রয়োজন হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে যত করোনাভাইরাসের রোগী রয়েছেন তাদের সবাই দেশের বাইরে থেকে এসেছেন। অন্য অনেক দেশের মতো স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকিয়া রাখতে পেরেছে সরকার। তিনি বলেন, সব দেশের সক্ষমতা ব্যবহারে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় রসদ দিয়ে সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা ও সার্কের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়েও নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্স আয়োজন করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা। এই ধরনের সঙ্কট মোকাবেলায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশে একটি সার্ক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রথমে ধন্যবাদ জানান। চীনের উহান থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারতে নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ও নাগরিকদের রক্ষা করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি আমাদের আলোচনা এখানেই শেষ হবে না। এটি চলতে থাকবে। কীভাবে এ আলোচনা সামনের দিকে নেওয়া যায় তা আমাদের বিশেষজ্ঞরা এগিয়ে নেবেন। আমরা একে অন্যের সঙ্গে ইন্টারকানেক্টেড। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ ধারণাকে স্বাগত জানিয়েছি। আশা করছি, আমাদের প্রস্তাবগুলোকে বিশেষজ্ঞরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি মনে করি সবাই মিলে আমরা এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা বিধান করতে পারব। বাংলাদেশ খুশি এই উদ্যোগের সঙ্গে আছি।
ঢাকা থেকে এ ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শেষের বক্তব্যে বলেন, এ মহামারী মোকাবেলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোকে সহযোগিতা ও সমন্বিত হয়ে কাজ করতে হবে। সমন্বয় করতে হবে আমাদের সম্মিলিত সামর্থ্য, অভিজ্ঞতা ও সম্পদের। লজিস্টিক সাপোর্টসহ সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা এবং কার্যক্রম সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে শেয়ার করতে আমরা প্রস্তুত বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, বর্তমান বিশে^ আমরা সবাই সবার সঙ্গে সংযুক্ত। তাই রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলো মোকাবেলায় আমাদের নিবিড়ভাবে সম্মিলিত হয়ে কাজ করতে হবে।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থল-বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে তিনজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তিনটিই বিদেশ থেকে আসা রোগী। তারা ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। নতুন করে আরও দুজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ দুটিও বিদেশ থেকে আসা কেস। স্থানীয়ভাবে এখনও কেউ সংক্রমিত হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনগণকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমরা একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছি। সতর্কতা বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি। যেখানে প্রয়োজন হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ নতুন নির্মিত চারটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য রাজশাহীতেও একটি হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। সব জেলার সব হাসপাতালে এ রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের জন্য কয়েকটি খালি ভবন নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। স্কুলের শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আইসোলেশন গাউন, মাস্ক, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র মজুদ করা আছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী-স্বাস্থ্য উপদেষ্টারা এ অঞ্চলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় কী হতে পারে এবং তাদের নিজ নিজ দেশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সে মোদির সঙ্গে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবে রাজাপাকসে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা।
করোনা প্রতিরোধে তহবিল গঠনের প্রস্তাব মোদির : সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে নরেন্দ্র মোদি বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে; কিন্তু আতঙ্কিত হলে চলবে না। সবাই মিলে আমাদের সফল হতে হবে।
মোদি ‘কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি ফান্ড’ গঠনের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে ভারত এক কোটি ডলার দিয়ে এই তহবিলের শুরুটা করতে পারে। এই তহবিলের অর্থ ব্যয় সমন্বয়ের কাজটি ভারতের দূতাবাসগুলো করতে পারে বলে প্রস্তাব দেন মোদি। সার্কভুক্ত যেকোনো দেশ এ তহবিল ব্যবহার করতে পারবে।
সার্কভুক্ত শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে মোদি বলেন, এ সঙ্কটপূর্ণ সময়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিভ্রান্তি নয়, সমন্বয়; আতঙ্ক নয়, প্রস্তুতিÑ এ মূলমন্ত্র নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ শনাক্ত করার যন্ত্র ও অন্য সরঞ্জামসহ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আমরা র‍্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করছি। সেসব প্রস্তুত থাকবে, আপনাদের প্রয়োজন হলে, তা সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে অনলাইনে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতেও পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের বাণিজ্য। এ ক্ষতি সামলাতে কী করণীয় সে বিষয়ে এখনই আমাদের বিশেষজ্ঞদের চিন্তা করতে হবে। এ অঞ্চলের বাণিজ্য থেকে কোভিড-১৯-এর প্রভাব কাটাতে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মোদি বলেন, আমাদের দেশগুলো একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই এ সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি যেমন অবমূল্যায়ন করা যাবে না, তেমনই অযথা আতঙ্কিতও হওয়া যাবে না।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ভারতে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে মোদি জানান, ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, প্রতিটি প্রদেশকে আলাদাভাবে প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে। এ ভিডিও কনফারেন্সের উদ্দেশ্য এ মহামারী মোকাবেলায় আমাদের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি একে অন্যকে জানানো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সার্কের সদস্য দেশগুলোকে সজাগ থাকা দরকার। যদিও আমরা এখন পর্যন্ত ১৫০ জন করোনা আক্রান্ত পেয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। করোনাভাইরাসের লড়াইয়ে আমাদের অবকাঠামোগত স্থাপনার কাজ বাড়ানো হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে ঐক্যের বার্তা : সার্ক সদস্য দেশগুলোর নেতারা ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় একটি দৃঢ় কৌশল প্রণয়নের’ লক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্সে সব নেতাদের মুখেই ছিল ঐক্যের বার্তা। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের নেতাদের মুখেও ছিল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলকে নিরাপদ করতে ঐক্যের বার্তা।
ভিডিও কনফারেন্সে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেন, ভারত সাংহাই কো-অপারেশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, চীনও এর সদস্য। আমি চীনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় বাড়ানোর প্রস্তাব করছি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মাঝে একটি সাধারণ টেলি-মেডিসিন কাঠামো গঠনের প্রস্তাব করছি।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে বলেন, করোনার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা গুরুতর হয়েছে। গত বছর সন্ত্রাসী হামলার পর বিশেষ করে পর্যটন খাতে আমাদের ধস নামে। আমরা সেটা থেকে উত্তরণের পথে যাচ্ছিলাম। আমি সার্ক নেতাদের অনুরোধ করব যে, আমাদের পারস্পারিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটা ফর্মূলা দাঁড় করানো হোক।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বলেন, সবসময়ের জন্যই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। যেখানে সারা বিশ^ই সাধারণ রোগ নিয়ে লড়াই করছে। এখন নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে এ সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। শুধু এই ভাইরাস নয় বরং এর কারণে পরে আমাদের অর্থনীতির ওপর যে আঘাত হানবে, সে ক্ষেত্রেও আমাদের একই ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন পড়বে। আমাদের এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিপদেও একে অন্যের সহযোগিতা ও পাশে থাকা প্রয়োজন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির এ উদ্যোগ খুবই সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়। তিনি জানান, করোনা সতর্কতায় তার দেশ সব ধরনের পর্বত আরোহীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জাফর মির্জাও সমন্বিত কাজের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমরা ভালোটা আশা করলেও সবচেয়ে খারাপ অবস্থার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। আমি আশা করব, এই ভিডিও কনফারেন্স করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের লড়াইয়ে নতুন পথ দেখাবে।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট জানান, মালদ্বীপসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা কমছে। যা অর্থনীতির ওপরও আঘাত দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় একটি কৌশল প্রণয়নের লক্ষ্যে সার্ক নেতারা এই কনফারেন্সে যোগ দেন। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে প্রস্তাব দেন, বাংলাদেশসহ সব সার্ক সদস্য দেশ তাতে সাড়া দেয়। সবশেষ শনিবার সাড়া দেয় পাকিস্তান। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দৃঢ় কৌশল অবলম্বনের জন্য সার্ক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।