ইউনিটেক্সের বিরুদ্ধে বন আদালতের মামলায় সীতাকুণ্ডে আটক ৩, ৩ আসামি পলাতক

ইউনিটেক্সের বিরুদ্ধে বন আদালতের মামলায় সীতাকুণ্ডে আটক ৩, ৩ আসামি পলাতক
ইউনিটেক্সের বিরুদ্ধে বন আদালতের মামলায় সীতাকুণ্ডে আটক ৩, ৩ আসামি পলাতক

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

অবৈধভাবে বনভূমিতে অনুপ্রবেশ করে মাটি খনন, বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা ও বন দখলের ঘটনায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইউনিটেক্সের ২ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়ার ফসিউল আলমের ছেলে মেহেদী হাসান (৩০), দক্ষিণ মাহমুদাবাদের আমিনুল হকের ছেলে মো. মাসুদ (৪০) ও বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়ার সিরাজুল হকের  ছেলে জাহিদুল করিম (৩৮) ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাত আটটায় বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ৷

বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিযান চালিয়ে বন মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।

এর আগে গত ২৫ জুন মামলাটির পিওআর (প্রসিকিউশন অফেন্স রিপোর্ট) দাখিল করা হয়েছিল বন বিভাগের পক্ষ থেকে। মামলার ১ নম্বর আসামি ইউনিটেক্স গ্রুপের পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড এস্টেট) ফারহান আহমেদ। অন্য আসামিরা হলেন- এসিসট্যান্ট ম্যানেজার গোলাম মাওলা (৫০) ও বাড়বকুণ্ডের মিয়াজী পাড়ার সিরাজুল হকের ছেলে জাহিদুল করিম (৪৫) ও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯২৭ সনের (২০০০ সালে সংশোধিত) বন আইনের ২৬ (১ ক) ধারায় ও ঙ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বলা হয় ১ ও ২ নম্বর আসামীর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে বনভূমিতে অনুপ্রবেশ করে মাটি খনন, বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা ও বন দখলের চেষ্টা করেছে। এ লক্ষ্যে আসামিগণ গত ৬ জুন সকাল দশটায় সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নড়ালিয়া মৌজার বাঁশবাড়িয়া বিটের উলানিয়া খালের উত্তর পাশের সংরক্ষিত বনে ইউনিটেক্স গ্রুপ ১০-১২ জন লোক দিয়ে বনে অবৈধ প্রবেশ করে স্কেভেটর দিয়ে বনের মাটি খনন শুরু করে। অপসারিত মাটি দ্বারা উঁচু বাঁধ নির্মাণ করে। এতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে নড়ালিয়া মৌজার (জেএল নং-৩৮) আরএস খতিয়ান নং-৬৬২ এবং আরএস দাগ নং-২৬০৩, ২৬০৪, ২৬০৫, ২৬০৬, বিএস খতিয়ান নং-৩৭৪ এবং বিএস দাগ নং-২০০৪, ২০০৬,২০০৭,২০০৮,২০০৯ এর ৩ হাজার ৫০০ ঘনফুট মাটি লুট হয় এবং তা পরিবেশের ক্ষতি হয় ।

ওইদিন ঘটনাস্থলে সীতাকুণ্ড উপকূলীয় বন বিভাগের বাঁশবাড়িয়া বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম সরদার পৌছালে আসামিরা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। বন কর্মকর্তারা তাদেরকে ধাওয়া করলেও জনবল কম থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়।

বন আদালতে মামলা দায়ের হলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তবে ইউনিটেক্স ইউনিটেক্স গ্রুপের ফারহান , গোলাম মাওলাসহ এখনও মামলার ৩ আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানা যায় ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;