আনোয়ারা জরিপ খাঁ জামে মসজিদ পরিচালনা কাজে বাঁধা প্রদান, প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

আনোয়ারা জরিপ খাঁ জামে মসজিদ পরিচালনা কাজে বাঁধা প্রদান, প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
আনোয়ারা হাজীগাঁও গ্রামে জরিপ খাঁ জামে মসজিদ

আনোয়ারা প্রতিনিধি ।।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জরিপ খাঁ জামে মসজিদ ওয়াক্ফ এস্টেট (ইসি নং:-২২০৫০) পরিচালনা কাজে বাঁধা প্রদানকারী ১৫ জনের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওয়াক্ফ এস্টেট এর অনুমোদিত মোতওয়ালী মোঃ মিজানুর রহমান গত রবিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এই লিখিত অভিযোগের অনুলিপি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় ভূমি মন্ত্রী মহোদয়, স্বরাষ্ট্র সচিব মহোদয়, পুলিশ মহাপরিদর্শক-ঢাকা,পরিচালক-দুর্নীতি দমন কমিশন-ঢাকা,ওয়াক্ফ প্রশাসক বাংলাদেশ-ঢাকা, বিভাগীয় কমিশনার-চট্টগ্রাম , পুলিশ কমিশনার-চট্টগ্রাম,  জেলা প্রশাসক-চট্টগ্রাম , ডি আই জি-চট্টগ্রাম,  পুলিশ সুপার-চট্টগ্রাম, পরিচালক-র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম,  সহকারী পুলিশ সুপার-আনোয়ারা সার্কেল, অফিসার ইনচার্জ-আনোয়ারা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার-আনোয়ারা, জাতীয় প্রেস ক্লাব-ঢাকা, চেয়ারম্যান ৬নং বারখাইন ইউনিয়ন পরিষদ, সহ সরকারী ১৮টি প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেন তিনি।  

অভিযোগ পত্র সূত্র জানা যায়, ৩০/১০/২০১৮ইং তারিখে স্মারক নং-৭৮ মূলে জরিপ খাঁ জামে মসজিদ ওয়াক্ফ এস্টেটের সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে মিজানুর রহমানকে মোতওয়ালী নিয়োগ করা হয়। মোতওয়ালী নিয়োগ হওয়ার পরে মিজানুর রহমান দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় এলাকায় কিছু বহিরাগত লোকসহ মো: জাফর-পিতা: মোজাহেরুল হক, আবুল বশর-পিতা: আবুল খায়ের, সাইফুদ্দিন-পিতা: শাহা আলম, আবছার-পিতা: আহমদ, দেলোয়ার হোসেন-পিতা: নজির খাঁ, মো: সাহেদ- পিতা: শাহাব মিয়া, ইউনুছ- পিতা: মোজাহেরুল হক, আহমদ হোসেন- পিতা: আবদুল আজিজ, আবদুছ ছমদ- পিতা: আবুল কালাম, ইউসুফ মোহাম্মদ- পিতা: অজ্ঞাত, নুরুল কবির- পিতা: আবুল কালাম, বেলায়েত হোসেন- পিতা: খুইল্যা মিয়া, খোরশেদ জাহান টিপু-পিতা: আহমদ শরীফ, মোহাম্মদ আলী বদো- পিতা: মৃত আবদু ছালাম, মো: ইদ্রিস- পিতা: আবু সৈয়দ সহ আরো অজ্ঞাত ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে ওয়াক্ফ এস্টেটের পরিচালনা কাজে বিগ্ন সৃষ্টির অভিযোগে রয়েছে।

এই বিষয় জানতে চাইলে মো: মিজানুর রহমান বলেন, মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর। ওয়াক্ফ এস্টেটের সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে আমাকে জরিপ খাঁ জামে মসজিদ এর মোতওয়ালী নিয়োগ করা হয়। মোতওয়ালী নিয়োগ হওয়ার পর আমি এস্টেটের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা অবস্থায় এলাকার কিছু বহিরাগত লোকসহ জনতাবদ্ধে সংগঠিত হইয়া মসজিদ পুকুরে ১,৫০,০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার মাছ এবং গাছপালা ও পুকুরের পাড়ের ক্ষেতসহ ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকার বিভিন্ন শাক সবজি ও ফলমূল জোরপূর্বক বিক্রি করে ফেলে এবং ৩৭ শতক মসজিদের নামে লাল ধানের জমি ধানসহ দখল করে ফেলে বিবাদীরা। মসজিদের নামে অধিক গ্রহণের জায়গায় টাকা এলএ শাখা থেকে ১০ লক্ষ টাকা আমাকে বাদ দিয়ে হারুনুর রশিদ এর কাছ থেকে জাফর জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। মসজিদের ০৩ শতক জমি চায়না ইকনোমিক জোনে পড়ায় ০৫ লক্ষ টাকা মসজিদের নামে নথিভুক্ত হইলেও মো: জাফর জোরপূর্বক নিজের কাছে রেখে দেয় এবং আত্মসাতের চেষ্টা করিতেছে। আমি মোঃ জাফর কাছে মসজিদের ফান্ডে কত টাকা আছে জানতে চাইলে জাফর মৌখিকভাবে জবাব দেন, ১০ লক্ষ টাকা তাহার কাছে আছে। বাকী টাকার হিসাবগুলো চাওয়াতে মো: জাফর আমাকে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করেন। এবং আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমাকে সাাহায্যকারীকেও মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমার পরিবারের কেহই মৃত্যুবরণ করলে কবরস্থানে কবরস্থ না দেওয়ার জন্য মসজিদের মাইকে বলেছেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যুগ যুগ ধরে আমার মৌরশী ওয়াক্ফ করা মসজিদের যাবতীয় খরচ ইমামের বেতন সহ আমার পিতার পরবর্তীতে আমি এই মসজিদের পরিচালনা করে আসতেছি। বর্তমানে মসজিদের বিভিন্ন অনুদান, দানবক্স, জুমার নামাজের আদায়কৃত টাকার হিসাব জোরপূর্বক রেখে দেয়। হিসাব চাইলে রহস্যজনক আচরণ করে। বর্তমানে আমার সাথে মসজিদের নিয়োগকৃত ইমাম যোগাযোগ করলে তাকে নির্যাতন করে বিদায় করে দেয়। মসজিদের ওয়াক্ফ এস্টেটের নামে একাউন্ট থাকা সত্ত্বেও যাবতীয় অধিগ্রহণ বাবদ পাওয়া ক্ষতিপূরণ, অনুদানসহ সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ করার কুমানসে বিবাদীগণ রেখেছেন। সকল বিবাদীগণ বিভিন্ন উপায়ে আমাকে প্রতিনিয়ত ঘায়েল করিয়া ওয়াক্ফ উক্ত মসজিদের টাকা, পয়সা, সহায় সম্পত্তির আত্মসাৎ এবং ভোগ দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাই আমি ওয়াক্ফ এস্টেটভুক্ত মসজিদটি বিবাদীদের অশুভ হাত থেকে রক্ষা করে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহোদয় কাছে আকুল আবেদন করেছি।