সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা, এজাহারনামীয় ৩৪ ও অজ্ঞাত ৪ শ

সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা, এজাহারনামীয় ৩৪ ও অজ্ঞাত ৪ শ
সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা, এজাহারনামীয় ৩৪ ও অজ্ঞাত ৩-৪শ আসামি

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে উচ্ছেদ অভিযানে ইউএনও ও ওসির ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, ভাঙচুর, হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়েরকৃত এ মামলা দুটিতে ৩৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও ৩/৪শ নারী–পুরুষকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড থানার উপ পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, জঙ্গল সলিমপুরে উচ্ছেদ অভিযানের শেষের দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াসিনের নেতৃত্বে অবৈধ দখলদারসহ প্রায় ৩/৪টি সন্ত্রাসী বাহিনী প্রশাসনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

তারা ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি পাহাড়ের চারপাশ থেকে উপর্যপুরি ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া ককটেল ও ইট–পাটকেলের আঘাতে ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলাম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ, পুলিশ লাইনে কর্মরত উপ–পরিদর্শক আশরাফ, ৭ পুলিশ কনস্টেবল ও ভূমি অফিসের আট কর্মচারীসহ ১৯ জন আহত হন।

ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপের পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ পিছু ধাওয়া করে সাগর (২২), মকবুল (১৯) ও মনোয়ারা বেগম (৫৫) নামে তিন হামলাকারীকে আটক করে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনায় আহত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখলদার ও সন্ত্রাসী ইয়াসিনের নেতৃত্বে ৩/৪ শতাধিক সন্ত্রাসী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনিসহ ১৯ জন আহত হন বলে জানান।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;