Dhaka ০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে সীতাকুণ্ডে জামায়াতের গণ মিছিল ও সমাবেশ সম্পন্ন

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সীতাকুণ্ড উপজেলার উদ্যোগে বিশাল গণ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলাে মাইক্রোবাস চত্বর থেকে এ মিছিল শুরু হয়। বিশাল মিছিলটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক পদক্ষিণ করে পৌরসদরের উত্তর বাজার ঘুরে কলেজ রোড মোড়ে এসে শেষ হয়। এ গণ মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

মিছিল শেষে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবু তাহের এর পরিচালনায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক সীতাকুণ্ড আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সেক্রেটারী জসিম উদ্দীন আজাদ, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, ছাত্র সমন্নয়কারী আসাদ উদ্দিন আসাদ ও উপজেলা জামায়াতের মিডিয়া সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ।

এই সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার এদেশের মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিলো। দিনের ভোট রাতে, কখনো বিনা ভোটে, কখনো ডামি ভোটে ক্ষমতা দখল করেছিলো। খুন, গুম, রাহাজানির মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিনত করেছিলো। একবছর আগে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাস্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এদেশের আপামর ছাত্রজনতা ঝাপিয়ে পড়েছিলো। ক্ষমতালোভী ফ্যাসিস্ট সরকার সেসময় দুই হাজার ছাত্রজনতাকে শহীদ করে। আহত ও পঙ্গত্ব বরণ করে আরও ত্রিশ হাজার ছাত্রজনতা। এখনো পর্যন্ত এ বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হয়নি। তাই অবিলম্বে ফ্যাস্টিস্ট আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসী, খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার সবচেয়ে বেশী জুলুম করেছিলো জামায়াত নেতাকর্মীদের উপর। জামায়াতের সব অফিস দখল ও ভাংচুর করা হয়। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারের নামে ফাঁসি দিয়েছে। এমনকি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও দাঁড়ি পাল্লা প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে মহান আল্লাহপাক জামায়াতকে দলের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

সীতাকুণ্ডে আকাশমনি কাঠ জব্দ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে সীতাকুণ্ডে জামায়াতের গণ মিছিল ও সমাবেশ সম্পন্ন

আপডেটের সময় : ০১:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সীতাকুণ্ড উপজেলার উদ্যোগে বিশাল গণ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলাে মাইক্রোবাস চত্বর থেকে এ মিছিল শুরু হয়। বিশাল মিছিলটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক পদক্ষিণ করে পৌরসদরের উত্তর বাজার ঘুরে কলেজ রোড মোড়ে এসে শেষ হয়। এ গণ মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

মিছিল শেষে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবু তাহের এর পরিচালনায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক সীতাকুণ্ড আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সেক্রেটারী জসিম উদ্দীন আজাদ, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, ছাত্র সমন্নয়কারী আসাদ উদ্দিন আসাদ ও উপজেলা জামায়াতের মিডিয়া সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ।

এই সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার এদেশের মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিলো। দিনের ভোট রাতে, কখনো বিনা ভোটে, কখনো ডামি ভোটে ক্ষমতা দখল করেছিলো। খুন, গুম, রাহাজানির মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিনত করেছিলো। একবছর আগে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাস্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এদেশের আপামর ছাত্রজনতা ঝাপিয়ে পড়েছিলো। ক্ষমতালোভী ফ্যাসিস্ট সরকার সেসময় দুই হাজার ছাত্রজনতাকে শহীদ করে। আহত ও পঙ্গত্ব বরণ করে আরও ত্রিশ হাজার ছাত্রজনতা। এখনো পর্যন্ত এ বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হয়নি। তাই অবিলম্বে ফ্যাস্টিস্ট আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসী, খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার সবচেয়ে বেশী জুলুম করেছিলো জামায়াত নেতাকর্মীদের উপর। জামায়াতের সব অফিস দখল ও ভাংচুর করা হয়। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারের নামে ফাঁসি দিয়েছে। এমনকি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও দাঁড়ি পাল্লা প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে মহান আল্লাহপাক জামায়াতকে দলের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন