উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা বিষয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা ,আতংকিত না হয়ে সচেনাতনতা জরুরী

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা বিষয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা ,আতংকিত না হয়ে সচেনাতনতা জরুরী
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা বিষয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা ,আতংকিত না হয়ে সচেনাতনতা জরুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুন্ড ।।

‘ করোনো ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিদিন ডাক্তার, নার্সসহ কর্মরত সকলের সাথে সভা ও কর্মশালা চলছে। করোনা সচেতনাতায় হাসপাতালে খোলা হয়েছে সেফটি কর্ণার। যে সব রোগীরা হাঁচি-কাঁশি জনিত রোগ নিয়ে আসবে সেফটি কর্ণারে আলেদা চিকিৎসার ব্যবস্থা দেয়া হবে। রোগীদের পরিচ্ছন্নতায় স্থাপন করা হয়েছে হাত-মুখ ধোঁয়ার বেসিনের বিশেষ ব্যবস্থা। সে সাথে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের প্রতি নির্দেশ রয়েছে এলাকা ভিত্তিক সচেতনতা মূলক প্রচারনা চালানোর। এছাড়া জনগনের প্রতি বিশেষ বার্তা হল যে সব লোক বিদেশ থেকে আসবে তারা যেন অন্তত পক্ষে ১৪ দিন নিজ গৃহে অবস্থান করে। আর যারা কারোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরবে তারা অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করতে হবে।’ যদি কেউ গোপন করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রস্তুতি সংক্রান্ত জানতে মূলক পরিকল্পনা বিষয়ে চাইলে দৈনিক সাঙ্গুকে এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে করোনা নিয়ে উপজেলা জুড়ে নানা আলোচনার ঝঁড় উঠলেও সর্বক্ষেত্রে সচেুনতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। করেনা আতংকে সরকারী নির্দেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও রাস্তা-ঘাট,হাট-বাজারে এখনও সমানতালে বিচরন করছে সর্ব সাধারন। করোনা সচতনতায় যেসব বিষয় এড়িয়ে চলার নির্দেশ রয়েছে মানা হচ্ছে না তা। তবে প্রচারনা না থাকায় সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে না জানান সকল-শ্রেনী পেশার মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সচেতনতামূলক ব্যবস্থা না করায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছে অভাবকরা।

অভিবাবকরা বলেন,‘ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে মরনব্যাধী রোগ করোনা। অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। এরপরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেয়া হয়নি করোনা বিষয়ে পদক্ষেপ। এতে করে বিপদজনক অবস্থায় সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হচ্ছে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন,‘ করোনা সচেতনতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যাবে সাথে সাথে পদক্ষেপ নিবে কমিটি। সে সাথে জনসচেতনতায় নানা কর্মসূচী পালনের পাশাপাশী কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ থাকবে। এছাড়া করোনা জীবনু বহন করে প্রশাসনকে অবহিত না করলে  আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।