মিসরের সরকার ৭১৬ জনকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে এবং প্রশ্ন উঠেছে। এই তালিকায় মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা ছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে কি প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির শাসন এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের সমাধান খোঁজা হচ্ছে?
মিসরের সন্ত্রাসী তালিকায় মোট ৪ হাজার ৪০৮ ব্যক্তি ও সংগঠনের নাম ছিল। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ৭০০, যার অধিকাংশই ইসলামপন্থী এবং ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধী। সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, নজরদারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, সরকারি চাকরি বা পদে থাকার যোগ্যতা হারানো, কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং দেশ-বিদেশে তহবিল সংগ্রহে বাধা দেওয়ার মতো বিভিন্ন শাস্তি ছিল।