অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই- আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, পূজা সকলের জন্য আনন্দের বিষয়। এখানে পূজাতি ও যারা আইন-শৃঙ্খলার কাজে জড়িত ও এলাকাবাসী সকলেই এই আনন্দের অংশ। বর্তমানে দেশ এক বিশেষ পর্যায় অতিক্রম করছে। আমাদের সবার প্রিয় মাতৃভূমি একটি নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। দল-মত নির্বিশেষে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সবাই যুক্ত হবে। আমরা আশা করছি আসন্ন নির্বাচনটিকে আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই উপভোগ করব। গতকাল সোমবার বিকেলে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের প্রেমতলা ও বড়বাজার পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। পৌরসভা পূজা কমিটির সভাপতি সুজন মল্লিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পাপন কৃ ষ্ণ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

আলোচনায় উপদেষ্টা আরো বলেন, সকলে মিলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম, এডিশনাল এসপি লাবিব আব্দুল্লাহ, ওসি তদন্ত মো. আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল পালিত, সীতাকুণ্ড উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অমলেন্দু কনক ও সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর শাস্ত্রী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে মিরসরাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই- আজম বীর প্রতীক বলেছেন, খাগড়াছড়িতে অনাকাঙ্খিত ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে চট্টগ্রাম সফরে এসেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন আছে তারা স্থানীয় জনগণের সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে যারা দোষী তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, দুর্গাপূজা যাতে সবাই মিলেমিশে উৎসব আনন্দে উদযাপন করতে পারি এটাই আমাদের এখনকার মিশন। গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি এসব পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হবে। নির্বাচন কমিশন এবং সরকার সবাই আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি নির্বাচন করার জন্য। যাতে নির্বাচনের দিকে ইতোমধ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। জনগণ যাকে পছন্দ করবে তাদের সরকার হিসেবে মেনে নিবে। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠিত হবে। কারণ আগের মতো একদেশদর্শী, একদলদর্শী, এক ব্যক্তিদর্শী এই ধরনের কোন নির্বাচন হবে না। আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের দেশ গড়ে তুলবো। জনগণের প্রত্যাশা নিঃসংকোচে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা সেটাই নিশ্চিত হবে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোমাইয়া আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন কাদের, মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. নাদিম হায়দার চৌধুরী, মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার, জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আব্দুল হালিম, জোরারগঞ্জ আনসার ব্যাটালিয়ন (৪ বিএন) সিনিয়র পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান, কোম্পানি কমান্ডার ওয়াহিদুজ্জামান, শহীদুল ইসলাম, মিরসরাই পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মোহন দে প্রমুখ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;