বাঁশখালীর কুতুবদিয়া চ্যানেলে অবৈধ বালু উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক সময়ের আলোর বাঁশখালী প্রতিনিধি মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আসামি নিজাম উদ্দিনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গভীর রাতে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিমের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার নিজাম কাথরিয়া ইউনিয়নের অলি আহমদের ছেলে।
জানা যায়, এজাহার দায়েরের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
পুলিশের তড়িৎ ও পেশাদারী পদক্ষেপে নগরীর সাংবাদিক মহলে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং পুলিশের ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর বিএনপি নেতা রেজাউল হক চৌধুরীর অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে গত ৪ জুলাই সময়ের আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন। এরপর থেকেই তিনি নানাভাবে হুমকির শিকার হচ্ছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, মঙ্গলবার বিকেলে অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিন সাংবাদিক বেলালকে ফোন করে ‘জরুরি তথ্য দেওয়ার’ কথা বলে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে আসতে বলে। বেলাল সেখানে পৌঁছানো মাত্রই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজাম, মোহাম্মদ নুরুন্নবী, রাসেল চৌধুরীসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ‘রেজাউল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিউজ করেছিস কেন? তোকে আজ মেরেই ফেলব,’—এই বলে তারা বেলালকে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এজাহার দায়ের করতে কিছুটা বিলম্ব হয়। মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালী থানায় মামলা (এজাহার) রেকর্ড হওয়ার পরপরই ওসি আবদুল করিমের নির্দেশে উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল আন্দরকিল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
কোতোয়ালী থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, সাংবাদিক সমাজের দর্পণ। তাদের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্রের ওপর হামলা। আমরা ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। মামলা রেকর্ড হওয়ার সাথে সাথেই আমার নির্দেশে একাধিক টিম মাঠে নামে। প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা অভিযুক্তের অবস্থান নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। অপরাধী যেই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি আবদুল করিম।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;