দেলোয়ার হোসেন ও আলী হোসেন দুই ভাই দীর্ঘদিন চাকরি সূত্রে বিদেশ থাকেন।তাদের দুই ভাইয়ের দীর্ঘদিনের প্রবাসের আয়ের টাকায় গড়ে তুলেন একটি ঘর । অথচ সেই ঘরে বসবাস করার আগেই বাসা বেঁধেছে সাপ। তাদের সেই স্বপ্নের কুঠির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬৯ টি গোখরা সাপের বাচ্চা ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরসরাই উপজেলার দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামের শাহপরান এলাকায় সাপ উদ্ধারের এই ঘটনা ঘটেছে। তবে সাপের ছানা উদ্ধার করা হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি সাপের মা।
তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, একটি গোখরা সাপ একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২০- ২৫ তা বাচ্চা দেওয়ার সক্ষমতা থাকে। মনে হচ্ছে এখানে একটি সাপ নয়, বেশ কয়েকটি সাপের মা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ওই ঘরের পাশ থেকে দুই একটি করে সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হচ্ছে।
প্রবাসীদের বড় ভাই আলাউদ্দিন বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম কোনো বিষমুক্ত সাধারণ সাপ। কিন্তু পরে দেখছি এগুলো সব বিষাক্ত গোখরা সাপের বাচ্চা। রাত হলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চাগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি সবসময়। সাপগুলো মেরে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় যুবক আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার একটি প্রবাসী ঘরে ৭০৬৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি সাপের মা। এ নিয়ে পরিবার ও এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রিমন ভূঁইয়া নামের আরেক স্থানীয় যুবক বলেন, সাপগুলো দেখার পরে স্থানীয়দের মাঝে হইচই পড়ে যায়। পরে গিয়ে দেখলাম একটি গর্ত থেকে ৬৯টি সাপ গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাকির উল ফরিদ বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ার কারণে সাপের ছানাগুলো এখানে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু এগুলো বিষধর সাপ ছোবল দিলেই ঘটতে পারে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা। তাই সাপুড়ে ও বন কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;