Dhaka ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিসি পার্ক বন্ধে জেলা প্রশাসকের ‘না’ , দাবি পূরণের আশ্বাসে কাজে ফিরেছেন লরি-ট্রেইলার শ্রমিকরা

ডিসি পার্ক বন্ধে জেলা প্রশাসকের ‘না’ , দাবি পূরণের আশ্বাসে কাজে ফিরেছেন লরি-ট্রেইলার শ্রমিকরা

টানা তিনদিন কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছেন প্রাইম মুভার (লরি) ও ট্রেইলার শ্রমিকরা। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে সংর্ঘষের ঘটনায় শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) এর সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা। তবে পার্ক নিয়ে কোনো স্থায়ী সমাধান মেলেনি ওই বৈঠকে।

এদিকে ডিসি পার্ক বন্ধের কোনো প্রশ্নই আসে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। অন্যদিকে পার্কটি বন্ধ করা না করা নিয়ে শ্রমিক সংগঠন ও জেলা প্রশাসকের নিজ নিজ অবস্থানের কারণে বেকায়দায় রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গাড়ি পার্কিংয়ের জের ধরে ডিসি পার্কের গার্ড ও পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে কর্মবিরতিতে যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার টেইলার শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে বন্দরে কনটেইনার জটসহ পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় সংগঠনটির প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এতে দাবি মানার আশ্বাস পেয়ে টানা ২৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। কিন্তু বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ডিসি পার্ক খোলা দেখে ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় টানা তিনদিন ধরে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের চেষ্টায় শ্রমিক সংগঠনের পাঁচ প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার। এতে ডিসি পার্ক বন্ধের আশ্বাস পেয়ে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। তবে পার্ক বন্ধের বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে নারাজ জেলা প্রশাসক। তবে স্থায়ী সমাধান চায় পুলিশ।

এ নিয়ে লরিচালকরা জানান, সংঘর্ষের পর ডিসির (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে আমাদের নেতাদের আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকে উনি আমাদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের চারটি দাবি ছিলো, সেগুলো পূরণ করার আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আমাদের শ্রমিকরা সীতাকুণ্ড দিয়ে আসার সময় ডিসি পার্ক খোলা দেখে। অথচ ডিসি ম্যাডাম পার্কটি তিন দিন বন্ধ রাখার কথা দিয়েছিলেন। তাই আমাদের কর্মবিরতি চলছে। টানা তিন দিন পর বন্দরের ডিসি (সিএমপি) আমাদের নেতাদের সঙ্গে মিটিং করছেন। দাবি পূরণ না হলে আমরা কাজে যোগ দেবো না।

প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের উত্থাপিত চারটি দাবি হলো- শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা, আহতদের চিকিৎসা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, ডিসি পার্কে প্রবেশের বিকল্প পথ ব্যবস্থা করা এবং সড়কে শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. কায়েস চৌধুরী বলেন, বন্দর পুলিশ লাইনসে আমাদের পাঁচজন নেতা গেছেন। আমরা বাইরে আছি। আশা করি কর্মবিরতি শেষ হয়ে যাবে। ভেতরে বৈঠক চলছে, এখনও শেষ হয়নি। আমি একটু করে শুনলাম, উনারা দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন। এটি লিখিত হচ্ছে।

ডিসি পার্ক বন্ধ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কনফার্ম। আলাদা রাস্তা না হওয়া পর্যন্ত পার্ক বন্ধ রাখতে হবে। এটি লিখিত হয়ে আসার পর আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবো।

সভা শেষ করার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সেলিম খান বলেন, পুলিশের ডিসি বন্দর স্যারের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো উনারা আন্তরিকভাবে শুনেছেন। আলাদা রাস্তা না হওয়া পর্যন্ত ডিসি পার্ক বন্ধ রাখাসহ আমাদের দাবিগুলো উনারা মেনে নিয়েছেন। ডিসি পার্ক এলাকা থেকে তার-কাটা ঘেরা দেওয়া এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে যারা আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল, তাদের গ্রেপ্তার করতে একটু সময় লাগবে বলেছেন। আমি এটি মেনে নিয়েছি।’

ডিসি পার্ক বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, না, ডিসি পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আমরা সাময়িকভাবে তিনদিন বন্ধ রেখেছি। ডিসি পার্ক বন্ধের তো কোনো প্রশ্নই আসে না। কেন ডিসি পার্ক বন্ধ করবো?
এখানে ডিসি পার্কের সঙ্গে গণ্ডগোল হয়নি। গণ্ডগোল হয়েছে ড্রাইভার-ড্রাইভার। পার্ক সামনে থাকায় এর প্রভাব পড়েছে ডিসি পার্কে। এজন্য ডিসি পার্ক কেন বন্ধ হবে? এটিতো চট্টগ্রামের সম্পদ। ডিসি পার্ক বন্ধের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি ।

বিকল্প রাস্তা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, এটি তো আমাদের পার্কের দর্শনার্থীদের জন্য রাস্তা পারাপারের একটি সমস্যা। সঙ্গত কারণে আমরা চেষ্টা করবো। ডিসি পার্ক দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। তাই আমরা চেষ্টা করবো যাতে বিকল্প সড়ক করা যায়। কিন্তু এটা খুব কঠিন। এটি সিডিএ করবে। আর সিডিএ রাস্তা করবে কিনা সেটিও একটি বিষয়। তবে আমরা আলাপ-আলোচনা করবো।

ডিসি পার্ক বন্ধের আশ্বাস পাওয়া শ্রমিকরা যদি আবার পার্ক খোলা দেখে ফের কর্মবিরতিতে যায়, এমন শঙ্কা নিয়ে কথা হয় সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার মো. বদরুল আলম মোল্লার সঙ্গে। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমরা শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেছি। উনাদের ছয়টি দাবির কথা আমাদের জানিয়েছেন। আমরা তাদের দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়েছি এবং সে লক্ষ্যে কাজ করছি। তারাও তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন। এখন আমরা আহতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। তালিকা সম্পূর্ণ হলে সেটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবো। তবে ডিসি পার্কের বিষয়টি একটা সমস্যা। এটি নিয়ে স্থায়ী একটি সমাধান আমাদের বের করতে হবে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
ট্যাগ:
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

তেলের ডিপোতে পড়ে সীতাকুণ্ডে একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ৩

ডিসি পার্ক বন্ধে জেলা প্রশাসকের ‘না’ , দাবি পূরণের আশ্বাসে কাজে ফিরেছেন লরি-ট্রেইলার শ্রমিকরা

আপডেটের সময় : ০৪:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টানা তিনদিন কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছেন প্রাইম মুভার (লরি) ও ট্রেইলার শ্রমিকরা। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে সংর্ঘষের ঘটনায় শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) এর সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা। তবে পার্ক নিয়ে কোনো স্থায়ী সমাধান মেলেনি ওই বৈঠকে।

এদিকে ডিসি পার্ক বন্ধের কোনো প্রশ্নই আসে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। অন্যদিকে পার্কটি বন্ধ করা না করা নিয়ে শ্রমিক সংগঠন ও জেলা প্রশাসকের নিজ নিজ অবস্থানের কারণে বেকায়দায় রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গাড়ি পার্কিংয়ের জের ধরে ডিসি পার্কের গার্ড ও পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে কর্মবিরতিতে যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার টেইলার শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে বন্দরে কনটেইনার জটসহ পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় সংগঠনটির প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এতে দাবি মানার আশ্বাস পেয়ে টানা ২৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। কিন্তু বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ডিসি পার্ক খোলা দেখে ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় টানা তিনদিন ধরে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের চেষ্টায় শ্রমিক সংগঠনের পাঁচ প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার। এতে ডিসি পার্ক বন্ধের আশ্বাস পেয়ে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। তবে পার্ক বন্ধের বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে নারাজ জেলা প্রশাসক। তবে স্থায়ী সমাধান চায় পুলিশ।

এ নিয়ে লরিচালকরা জানান, সংঘর্ষের পর ডিসির (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে আমাদের নেতাদের আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকে উনি আমাদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের চারটি দাবি ছিলো, সেগুলো পূরণ করার আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আমাদের শ্রমিকরা সীতাকুণ্ড দিয়ে আসার সময় ডিসি পার্ক খোলা দেখে। অথচ ডিসি ম্যাডাম পার্কটি তিন দিন বন্ধ রাখার কথা দিয়েছিলেন। তাই আমাদের কর্মবিরতি চলছে। টানা তিন দিন পর বন্দরের ডিসি (সিএমপি) আমাদের নেতাদের সঙ্গে মিটিং করছেন। দাবি পূরণ না হলে আমরা কাজে যোগ দেবো না।

প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের উত্থাপিত চারটি দাবি হলো- শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা, আহতদের চিকিৎসা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, ডিসি পার্কে প্রবেশের বিকল্প পথ ব্যবস্থা করা এবং সড়কে শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. কায়েস চৌধুরী বলেন, বন্দর পুলিশ লাইনসে আমাদের পাঁচজন নেতা গেছেন। আমরা বাইরে আছি। আশা করি কর্মবিরতি শেষ হয়ে যাবে। ভেতরে বৈঠক চলছে, এখনও শেষ হয়নি। আমি একটু করে শুনলাম, উনারা দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন। এটি লিখিত হচ্ছে।

ডিসি পার্ক বন্ধ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কনফার্ম। আলাদা রাস্তা না হওয়া পর্যন্ত পার্ক বন্ধ রাখতে হবে। এটি লিখিত হয়ে আসার পর আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবো।

সভা শেষ করার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সেলিম খান বলেন, পুলিশের ডিসি বন্দর স্যারের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো উনারা আন্তরিকভাবে শুনেছেন। আলাদা রাস্তা না হওয়া পর্যন্ত ডিসি পার্ক বন্ধ রাখাসহ আমাদের দাবিগুলো উনারা মেনে নিয়েছেন। ডিসি পার্ক এলাকা থেকে তার-কাটা ঘেরা দেওয়া এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে যারা আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল, তাদের গ্রেপ্তার করতে একটু সময় লাগবে বলেছেন। আমি এটি মেনে নিয়েছি।’

ডিসি পার্ক বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, না, ডিসি পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আমরা সাময়িকভাবে তিনদিন বন্ধ রেখেছি। ডিসি পার্ক বন্ধের তো কোনো প্রশ্নই আসে না। কেন ডিসি পার্ক বন্ধ করবো?
এখানে ডিসি পার্কের সঙ্গে গণ্ডগোল হয়নি। গণ্ডগোল হয়েছে ড্রাইভার-ড্রাইভার। পার্ক সামনে থাকায় এর প্রভাব পড়েছে ডিসি পার্কে। এজন্য ডিসি পার্ক কেন বন্ধ হবে? এটিতো চট্টগ্রামের সম্পদ। ডিসি পার্ক বন্ধের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি ।

বিকল্প রাস্তা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, এটি তো আমাদের পার্কের দর্শনার্থীদের জন্য রাস্তা পারাপারের একটি সমস্যা। সঙ্গত কারণে আমরা চেষ্টা করবো। ডিসি পার্ক দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। তাই আমরা চেষ্টা করবো যাতে বিকল্প সড়ক করা যায়। কিন্তু এটা খুব কঠিন। এটি সিডিএ করবে। আর সিডিএ রাস্তা করবে কিনা সেটিও একটি বিষয়। তবে আমরা আলাপ-আলোচনা করবো।

ডিসি পার্ক বন্ধের আশ্বাস পাওয়া শ্রমিকরা যদি আবার পার্ক খোলা দেখে ফের কর্মবিরতিতে যায়, এমন শঙ্কা নিয়ে কথা হয় সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার মো. বদরুল আলম মোল্লার সঙ্গে। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমরা শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেছি। উনাদের ছয়টি দাবির কথা আমাদের জানিয়েছেন। আমরা তাদের দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়েছি এবং সে লক্ষ্যে কাজ করছি। তারাও তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন। এখন আমরা আহতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। তালিকা সম্পূর্ণ হলে সেটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবো। তবে ডিসি পার্কের বিষয়টি একটা সমস্যা। এটি নিয়ে স্থায়ী একটি সমাধান আমাদের বের করতে হবে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন