Dhaka ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আউশ চাষে ব্যস্ত সীতাকুণ্ডের সাড়ে ১৮ হাজার কৃষক

আউশ চাষে ব্যস্ত সীতাকুণ্ডের সাড়ে ১৮ হাজার কৃষক

আউশের উৎপাদন বাড়াতে সরকারি প্রণোদনা পেয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলার কৃষকেরা। বাম্পার ফলনের আশায় করে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম। সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনা পাওয়ায় কৃষকেরাও ঘামঝরা পরিশ্রম করে আউশ চাষে নবদিগন্তের সূচনার আশা করছেন ।

এমনিতে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা আউশ ধান রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় মাঠ পর্যায়ে আউশের জমি প্রস্তুত করা এবং চারা রোপণের কাজ পুরোদমে চলে। বর্তমানে আউশ ধান রোপণের উপযুক্ত সময় হওয়ায় কৃষকরা বেশ তৎপর। আউশ ধান রোপণে কৃষকদের এই ব্যস্ততা বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। সরকারি প্রণোদনা এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ার কারণে কৃষকরা এখন আউশ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বেশী ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে ১৮ হাজার ৫৩০ জন কৃষক পরিবার হাইব্রিডসহ নানান জাতের আউশ চারা রোপণ করে চলেছেন ।

বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় আউশ রোপণে কিছুটা দেরি হলেও, কৃষকরা এখন পুরোদমে চারা রোপণে মনোযোগ দিচ্ছেন। কারণ বেশ কিছুদিন নিয়মিত বৃষ্টি হওয়াতে আউশ চাষে সুবিধা হয়েছে, কারণ শুকনো জমিতে পর্যাপ্ত পানি জমেছে। এতে কৃষকরা বেশ স্বস্তি বোধ করছেন এবং আউশ চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

মৌসুমে কিছুটা দেরি হলেও কৃষক পরিবারের সকল সদস্য এখন যার যার জমিগুলোতে আউশ চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে চলতি মৌসুমে সময় মত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আউশ রোপণে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছিল উপজেলার কৃষক পরিবারকে। রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার কষ্টের মাঝেও সোনালী ধানের সুগন্ধি আবার তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় ।

পৌর সদরের পন্থিছিলা এলাকার কৃষক নুরুন্নবী বলেন, আমরা চৈত্র-বৈশাখে বীজ রোপণের পর জ্যৈষ্ঠের অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকি। প্রকৃতির করুণার এক পশলা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমার সাথে সাথে চাষ এবং চারা রোপণ শুরু করার কথা থাকলেও কিন্তু এবার সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় আউশের চারা রোপণে প্রায় একমাস পিছিয়ে পড়তে হয়েছে ।

নুরুন্নবী বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ সংগ্রহ করতে পারলেও সময় মত ধানের চারা রোপণ করতে পারিনি আমি। তাই জমিতে কিছু পানি জমার সাথে সাথে এবার ৪০ শতক জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছি।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল ব্লকে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী বলেন, উপজেলার অন্যান্য অঞ্চল থেকে টেরিয়াইল ব্লকে আউশ ধানের আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়। তাই বৃষ্টির কারণে আউশ আবাদে দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত ১৮০ হেক্টর জমিতে ৩০০শ’ জন কৃষক হাইব্রীডসহ আউশের বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ করা শুরু করেছেন।

এই ব্লকের কৃষক মফিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মধ্যে আমাদের এলাকায় আউশ ধানের আবাদ বেশি হয়। আউশ আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। এছাড়া কৃষকেরা উফসি ও স্থানীয় জাতের আউশ ধানের আবাদ বেশি করেন। সরকার বিনামুল্যে বীজ দেওয়ায় কৃষকেরা এখন আউশ আবাদে বেশি ঝুঁকছেন বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে পৌরসদর এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম বলেন, শেখপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, নলুয়া পাড়ার কৃষক মোঃ জাফরসহ অনেকেই আউশ ধানের আবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে প্রদর্শনীর জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে আউশ জাতের হাইব্রীড ও উফসি ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষকদের মতে, আউশ চাষাবাদ পুরোটাই বৃষ্টি নির্ভর। ফলে এ ধান উৎপাদনে সেচ খরচ সাশ্রয় হয়। বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় তারা ঘুরে দাঁড়ানো সুযোগ থাকে। ফলে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করছেন তারা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরো উপজেলা জুড়ে বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা মাঠে নেমে পড়েছেন আউশ চারা রোপণ করতে। পানির অভাবে জমিতে আউশ চাষ করতে পারিনি এতো দিন। এখন একটু জমিতে পানি জমার সাথে সাথে জমিতে আউশ রোপণ শুরু করেছে । অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল আউশ রোপণে। পর্যাপ্ত বৃষ্টির না হওয়ার কারণে জমিতে আউশের চারা রোপণে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাদের। এছাড়া বিভিন্ন কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতায় উপকূলীয় এলাকার কৃষক বার বার ক্ষতিরও শিকার হন।

এদিকে পানি সংকটে এবার আউশ চাষ করতে না পেরে হতাশার কথা জানিয়েছেন উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের আইয়ুব আলী, সাইদুল ইসলাম, সাজ্জাদুল, সফিউলসহ অনেকেই ।

উপজেলার প্রায় কৃষক খুব বৃষ্টি আশা করলেও সৈয়দপুর, মহালঙ্কা, বগাচতর, মহানগর, মুরাদপুর, গুলিয়াখালী, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড, কুমিরা, ভাটেরখীলসহ উপকূলীয় এসব নিম্নাঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো প্রতিবার আউশ রোপণ করে বার বার পথে বসতে হয়েছে । তাই অধিক বৃষ্টি তারা আশা করছেন না।

এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, চলতি মৌসুমে সীতাকুণ্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে ১৮ হাজার ৫৩০ জন কৃষক পরিবার হাইব্রীড সহ আউশ এর বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ১০০শ’ মেট্রিক টন এবং আবাদের লক্ষ্যমাত্রা শেষ পর্যন্ত অর্জিত হবে ৫ হাজার ৩০ হেক্টর।

তিনি বলেন, এখন যত বৃষ্টি হবে কৃষকদের আউশের চারা রোপণে সহজ হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আগের চেয়ে আরো বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হাবিবুল্লাহ আরও বলেন, আমরা বীজসহ নানান সহযোগিতা করেছি। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের হয়তো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আনোয়ারা সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটি গঠন, সভাপতি নাবিদ ও সম্পাদক ফরহাদুল

আউশ চাষে ব্যস্ত সীতাকুণ্ডের সাড়ে ১৮ হাজার কৃষক

আপডেটের সময় : ১০:৫৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

আউশের উৎপাদন বাড়াতে সরকারি প্রণোদনা পেয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলার কৃষকেরা। বাম্পার ফলনের আশায় করে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম। সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনা পাওয়ায় কৃষকেরাও ঘামঝরা পরিশ্রম করে আউশ চাষে নবদিগন্তের সূচনার আশা করছেন ।

এমনিতে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা আউশ ধান রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় মাঠ পর্যায়ে আউশের জমি প্রস্তুত করা এবং চারা রোপণের কাজ পুরোদমে চলে। বর্তমানে আউশ ধান রোপণের উপযুক্ত সময় হওয়ায় কৃষকরা বেশ তৎপর। আউশ ধান রোপণে কৃষকদের এই ব্যস্ততা বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। সরকারি প্রণোদনা এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ার কারণে কৃষকরা এখন আউশ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বেশী ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে ১৮ হাজার ৫৩০ জন কৃষক পরিবার হাইব্রিডসহ নানান জাতের আউশ চারা রোপণ করে চলেছেন ।

বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় আউশ রোপণে কিছুটা দেরি হলেও, কৃষকরা এখন পুরোদমে চারা রোপণে মনোযোগ দিচ্ছেন। কারণ বেশ কিছুদিন নিয়মিত বৃষ্টি হওয়াতে আউশ চাষে সুবিধা হয়েছে, কারণ শুকনো জমিতে পর্যাপ্ত পানি জমেছে। এতে কৃষকরা বেশ স্বস্তি বোধ করছেন এবং আউশ চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

মৌসুমে কিছুটা দেরি হলেও কৃষক পরিবারের সকল সদস্য এখন যার যার জমিগুলোতে আউশ চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে চলতি মৌসুমে সময় মত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আউশ রোপণে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছিল উপজেলার কৃষক পরিবারকে। রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার কষ্টের মাঝেও সোনালী ধানের সুগন্ধি আবার তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় ।

পৌর সদরের পন্থিছিলা এলাকার কৃষক নুরুন্নবী বলেন, আমরা চৈত্র-বৈশাখে বীজ রোপণের পর জ্যৈষ্ঠের অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকি। প্রকৃতির করুণার এক পশলা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমার সাথে সাথে চাষ এবং চারা রোপণ শুরু করার কথা থাকলেও কিন্তু এবার সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় আউশের চারা রোপণে প্রায় একমাস পিছিয়ে পড়তে হয়েছে ।

নুরুন্নবী বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ সংগ্রহ করতে পারলেও সময় মত ধানের চারা রোপণ করতে পারিনি আমি। তাই জমিতে কিছু পানি জমার সাথে সাথে এবার ৪০ শতক জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছি।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল ব্লকে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী বলেন, উপজেলার অন্যান্য অঞ্চল থেকে টেরিয়াইল ব্লকে আউশ ধানের আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়। তাই বৃষ্টির কারণে আউশ আবাদে দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত ১৮০ হেক্টর জমিতে ৩০০শ’ জন কৃষক হাইব্রীডসহ আউশের বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ করা শুরু করেছেন।

এই ব্লকের কৃষক মফিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মধ্যে আমাদের এলাকায় আউশ ধানের আবাদ বেশি হয়। আউশ আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। এছাড়া কৃষকেরা উফসি ও স্থানীয় জাতের আউশ ধানের আবাদ বেশি করেন। সরকার বিনামুল্যে বীজ দেওয়ায় কৃষকেরা এখন আউশ আবাদে বেশি ঝুঁকছেন বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে পৌরসদর এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম বলেন, শেখপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, নলুয়া পাড়ার কৃষক মোঃ জাফরসহ অনেকেই আউশ ধানের আবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে প্রদর্শনীর জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে আউশ জাতের হাইব্রীড ও উফসি ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষকদের মতে, আউশ চাষাবাদ পুরোটাই বৃষ্টি নির্ভর। ফলে এ ধান উৎপাদনে সেচ খরচ সাশ্রয় হয়। বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় তারা ঘুরে দাঁড়ানো সুযোগ থাকে। ফলে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করছেন তারা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরো উপজেলা জুড়ে বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা মাঠে নেমে পড়েছেন আউশ চারা রোপণ করতে। পানির অভাবে জমিতে আউশ চাষ করতে পারিনি এতো দিন। এখন একটু জমিতে পানি জমার সাথে সাথে জমিতে আউশ রোপণ শুরু করেছে । অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল আউশ রোপণে। পর্যাপ্ত বৃষ্টির না হওয়ার কারণে জমিতে আউশের চারা রোপণে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাদের। এছাড়া বিভিন্ন কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতায় উপকূলীয় এলাকার কৃষক বার বার ক্ষতিরও শিকার হন।

এদিকে পানি সংকটে এবার আউশ চাষ করতে না পেরে হতাশার কথা জানিয়েছেন উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের আইয়ুব আলী, সাইদুল ইসলাম, সাজ্জাদুল, সফিউলসহ অনেকেই ।

উপজেলার প্রায় কৃষক খুব বৃষ্টি আশা করলেও সৈয়দপুর, মহালঙ্কা, বগাচতর, মহানগর, মুরাদপুর, গুলিয়াখালী, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড, কুমিরা, ভাটেরখীলসহ উপকূলীয় এসব নিম্নাঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো প্রতিবার আউশ রোপণ করে বার বার পথে বসতে হয়েছে । তাই অধিক বৃষ্টি তারা আশা করছেন না।

এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, চলতি মৌসুমে সীতাকুণ্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে ১৮ হাজার ৫৩০ জন কৃষক পরিবার হাইব্রীড সহ আউশ এর বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ১০০শ’ মেট্রিক টন এবং আবাদের লক্ষ্যমাত্রা শেষ পর্যন্ত অর্জিত হবে ৫ হাজার ৩০ হেক্টর।

তিনি বলেন, এখন যত বৃষ্টি হবে কৃষকদের আউশের চারা রোপণে সহজ হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আগের চেয়ে আরো বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হাবিবুল্লাহ আরও বলেন, আমরা বীজসহ নানান সহযোগিতা করেছি। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের হয়তো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন