চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছর পূর্ণ হল আজ।আর এসময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কনটেইনারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হয় ১৩ জন ফায়ার সদস্য।তাদের স্মরণে (বুধবার)দুপুরে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্যোগে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
জানা যায়,সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে ২০২২ সালের ৪ জুন রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ভর্তি কনটেইনারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ডিপোর পাশাপাশি আশপাশের ৩ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণে অগ্নিনির্বাপণে অংশ নেওয়া ১৩জন ফায়ার ফাইটার ও কারখানার ৪০ শ্রমিক-কর্মচারী নিহত হন।
এবিস্ফোরণে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ারসার্ভিস স্টেশন ও কুমিরা ফায়ারসার্ভিস স্টেশনের ১৩ সদস্য নিহত হন।এছাড়া কারও হাত, কারও পা-বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন অন্তত ২৩০ জন। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ৮৬ ঘণ্টা পর ডিপোর আগুন নেভে। বিস্ফোরণ-পরবর্তী সময়ে ডিপোমালিক- কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে।এতে অর্ধশত মানুষের প্রাণহানি, দুই শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার ঘটনার পেছনে কারা দায়ী,তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান,বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছরে পরও এলাকায় আগের চিত্র ফিরলেও এখন পর্যন্ত থামেনি স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে যেনতেন বিচারে যেমন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের মনে স্বস্তি ফেরেনি,তেমনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আহত অনেকে।
সেদিন নিহত হওয়া ফায়ার সদস্যরা হলেন-
সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের স্টেশনের লিডার নিপন চাকমা,রমজানুল ইসলাম ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নিহত সদস্যরা হলেন- মো. রানা মিয়া, মনিরুজ্জামান, আলাউদ্দিন, মো. শাকিল তরফদার,স্টেশন লিডার মিঠু দেওয়ান, মো. ইমরান হোসেন মজুমদার।নিখোঁজ ছিলেন, শফিউল ইসলাম,রবিউল ইসলাম এবং ফরিদুজ্জামান।
সীতাকুণ্ডের ফায়ারসার্ভিস স্টেশনের অফিসার, মো.সাহেদুল ইসলাম বলেন,দেশের সেবা করতে গিয়ে যে সকল ফায়ার সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছেন।তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।আল্লাহ যেন জান্নাত দান করুক।
খালেদ/ পোস্টকার্ড ;