কালুরঘাট সেতুর ওপরে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে গেছে। তাছাড়া টেনের নীচে পড়ে আছে আরো বেশ কিছু গাড়ী । এতে অনেকেই হতাহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত খবর এখনো পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, সিএনজি এবং অন্য গাড়ী গুলো সিগন্যাল না মেনেই সেতুর ওপরে উঠে যাওয়ার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটে ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর বোয়ালখালী অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তুষার নামে এক অটোরিকশাচালক ও এক শিশু নিহত এবং গুরুতর আহত পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে। যারমধ্যে তিনজন হলেন—আসিফ উদ্দিন বাপ্পি, আসমা আহমেদ এবং আঞ্জুমান আরা। যদিও তাদের কারো ঠিকানা জানা যায়নি। নিহত তুষার উত্তর গোমদন্ডী ২নং ওয়ার্ড বাংলা পাড়ার মুহাম্মদ আবুল মনসুরের একমাত্র ছেলে । তাছাড়া নিহত শিশুর পরিচয় জানা যায়নি ।
অন্যদিকে এক ভিডিও ফুটেজে দুর্ঘটনায় নিহত এক শিশুকে কাঁধে নিয়ে এক যুবককে আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর বলে গগনবিদারী আর্তনাদ করতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি ওই শিশুর পিতা। তবে তার পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিগন্যাল অমান্য করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্তত আটটি গাড়ি একসঙ্গে সেতুর ওপর উঠে যায়। ট্রেনটি বোয়ালখালী অংশ থেকে শহরের দিকে ব্রিজ পার হয়ে আসার সময় সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিগন্যাল না মেনেই সেতুর ওপরে উঠে যায় অটোরিকশাসহ কিছু মোটরসাইকেল। তখনই দ্রুত গতিতে আসা ওই ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয় এবং মুহুর্তেই দুমড়েমুচড়ে যায় অটোরিকশাটি ।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দীন জানান, ব্রিজের পশ্চিম পাড় (শহরের অংশ) থেকে লাইন চলছে পূর্ব পাড়ের (বোয়ালখালী অংশ) দিকে। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে আছে পূর্ব পাড়ে লাইনসম্যানের নির্দেশে। কারণ তখনও গাড়ি যাচ্ছিল বোয়ালখালীর দিকে। শেষ ৫-৬ টা অটোরিকশাসহ কিছু মোটরসাইকেল ব্রিজের ওপর থাকাকালে ট্রেনটি চলতে শুরু করলে ওইসব যানবাহনগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা জানান, দুর্ঘটনায় আরও কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ি ট্রেনের নিচে চাপা পড়েছে ।
কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার আমিনুল ইসলাম জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়েছেন। তাদের স্টেশন থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের পরিমাণ জানা নেই।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) নুরুল আলম আশেক জানান, গুরুতর আহত পাঁচজনকে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
খালেদ/ পোস্টকার্ড ;